প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের আয়ত্তে রয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যায়। আর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এবার আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ প্রশাসনকে পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ষষ্ঠ দফার বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যেখানে তৃণমূল নেতার গলায় শোনা গেল দেখে নেওয়ার হুমকি। স্বাভাবিক ভাবে এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায়।

সূত্রের খবর, এদিন আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতাপপুরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় পুলিশকে হুশিয়ার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা অরুপ মিদ্যার বিরুদ্ধে। যেখানে তিনি বলেন, “শীতলকুচি করতে যাবেন না। তিন দিন বাদে আমরা সরকারে আসছি। তখন আপনাকে দেখে নেব।” আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

কেন এভাবে পুলিশ প্রশাসনকে হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা? বিরোধীরা বলছেন, এতদিন শাসক দলের হয়ে কাজ করে এসেছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এবার তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কারণেই চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই এবার তৃণমূল নেতারা হুমকি দিতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসনকে। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না।

বলা বাহুল্য, নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য রাজ্য পুলিশ অপেক্ষা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো যায়, তার কারণে বারবার আবেদন করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি বিরোধীদের সেই আবেদনে সীলমোহর দিয়ে প্রতি দফার নির্বাচনে ব্যাপক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করেছে নির্বাচন কমিশন।

মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুরু হতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এবার ভোট শুরুর মাঝেই পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি নিয়ে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।