এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির পালে হাওয়া লাগতেই সংগঠন ভেঙে চুরমার! কর্মসূচি পালনেরও লোক পাচ্ছে না তৃণমূল!

বিজেপির পালে হাওয়া লাগতেই সংগঠন ভেঙে চুরমার! কর্মসূচি পালনেরও লোক পাচ্ছে না তৃণমূল!


সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা দখল করতে পারেনি তৃণমূল। যার পরেই এই কোচবিহারে দলীয় সংগঠনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাও যেন এখানে সমস্যা মিটছে না কিছুতেই। তবে এই কোচবিহার জেলায় তৃনমূলের ব্লক কমিটি না থাকায় এবার জেলাজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শাসক শিবিরকে।

তবে তৃণমূল তাদের কর্মসূচি ঠিকমত গ্রহন করতে না পারলেও প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিজেপি সদস্য সংগ্রহ অভিযান থেকে একের পর এক কর্মসূচি এই জেলায় নিতে শুরু করেছে। যার সঙ্গে পাল্লা দিতে তৃণমূল চেষ্টা করলেও গিয়েই সংগঠনকে মজবুত করতে কোচবিহার জেলায় ব্লক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু সেখানেও প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তৃনমূল।

জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটি বিধানসভা এলাকা থেকে ব্লক কার্যনির্বাহী কমিটির নামের তালিকা জমা পড়েছে। জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি তৃণমূল বিধায়করাও দ্রুত এই নামের তালিকা জমা দেবেন। বস্তুত, কিছু দিন আগেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কোচবিহারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে ব্লকগুলিতে কমিটি গঠনের কথা বলেন। আর দলীয় সভাপতির নির্দেশ মোতাবেক জেলা থেকে এই তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়।

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এই সমস্ত বিধানসভা এলাকা থেকে নামের তালিকা জমা পড়েনি। তবে যে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের নামের তালিকা জমা পড়েনি, সেগুলি দ্রুত জমা পড়বে বলেই দাবি করছে তৃণমূল। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এই কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের ব্লক কমিটি না থাকায় দলের সাংগঠনিক কাজ করতে কর্মীদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মনে করছে দলেরই একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “দলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ মতো ব্লক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য বিধানসভা এলাকাগুলি থেকে নামের তালিকা জমা পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তিনটি বিধানসভা এলাকার ব্লক কার্যনির্বাহী কমিটির নামের তালিকা আমার হাতে এসেছে। বাকি বিধায়করা নামের তালিকাগুলি জমা দিলেই তা রাজ্য সভাপতির হাতে তুলে দেব। এতদিন বিধায়কদের বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে হচ্ছিল। সেই কারণে তালিকা জমা দিতে হয়তো সময় লাগছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে এই কোচবিহার আসনে বিজেপি তাদের জয় পাওয়ার পরেই গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া লাগতে শুরু করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেলায় নিজেদের সংগঠনকে বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু বুথ স্তর পর্যন্ত এই সংগঠনকে মজবুত করে গড়ে তুলে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কীভাবে তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে নাস্তানাবুদ করবে তারও প্রস্তুতি চালাচ্ছে।

অন্যদিকে তৃণমূল তাদের হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারের জন্য ‘দিদিকে বলো’ ও ‘জনসংযোগ যাত্রা’র মতে দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ব্যাপক প্রচার অভিযানে নেমে পড়েছে। তবে ব্লক কমিটি না থাকায় বিভিন্ন সময়ই দলীয় কর্মসূচি গ্রহন করতে অসুবিধা হচ্ছে শাসকদলের। কিন্তু এর বদলে ব্লক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে জেলা নেতৃত্ব এই উদ্যোগ নিলেও তাতে আদৌ কতটা সাফল্য আসে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!