এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে হেভিওয়েট নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে কমিটি ভাঙলো তৃণমূল

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে হেভিওয়েট নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে কমিটি ভাঙলো তৃণমূল

হুগলী জেলার চন্দননগর রাজ্যের শাসক দলের গোষ্ঠী বিবাদ মেটাতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস শহর কমিটি ভেঙ্গে দিলো। একইসাথে দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে মেয়র পারিষদ নিতাই দত্তকে তাঁর পদ থেকে বহিঃস্কার করা হলো। এছাড়াও শাসক দল দুটি বোরো কমিটির চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনলো। কলকাতায় জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কার্যালয়ে দীর্ঘ দু ঘন্টার বৈঠকের পরে এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন অরূপ বাবু আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন শহর কমিটির তালিকা তৈরি করে করে জেলা সভাপতিকে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সাথে দলের জেলা পর্যবেক্ষক তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানকে সচেতন করে দলের পক্ষ থেকে কতকগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেন । যদিও এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে কেউই কোনো রকম প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজী নয়। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বললেন, “রাজ্য নেতৃত্ব চন্দননগর শহরে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া ছোট দু’একটি পরিবর্তন করেছেন। আর তারকেশ্বর পুরসভার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

” উল্লেখ্য গত বছর দুর্গোৎসবের আগে থেকেই চন্দননগর কর্পোরেশনের ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার , ঐ পুরসভার মেয়র ও তাঁর অনুগামী কয়েক জন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বৈরচারী মনোভাবের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনরত ঐ ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার ইতিমধ্যে একবার পদত্যাগ ও করেন। পরবর্তীতে দলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনার করার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষুদ্ধরা সেই সময়কার মতন শান্ত হন। উভয়পক্ষকে নিয়ে মোট ছ’দফা বৈঠকের পর ২ এপ্রিল ডেপুটি মেয়র সহ মেয়র পরিষদ সদস্যের রদবদলও হয়। কিন্তু এর মাত্র মাস দুয়েক পরেই আবার বিক্ষুদ্ধ কাউন্সিলারেরা তাঁদের সঠিকভাবে কাজ করতে না দেওয়া ও বেশ কয়েকটি অনিয়মের কথা জানিয়ে মেয়র এবং কমিশনারকে চিঠি দেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিনের বোইঠক স্থির হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র সহ সমস্ত কাউন্সিলার, বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, দুই কার্যকরী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল ও অসীমা পাত্র প্রমুখ। সূত্রের খবর অনুসারে জানতে পারা যাচ্ছে এদিন বৈঠকের শুরুতেই ডেপুটি মেয়র পরিবেশ দিবসের টাকা তাঁকে না জানিয়েই এনজিওকে দেওয়া নিয়ে সওয়াল করেন। পরে মেয়র পারিষদ(বিল্ডিং) অজয় ঘোষ তাঁর কাছে কোনও ফাইল না এসেই প্ল্যান পাশ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানান। একইভাবে মেয়র পরিষদ সদস্য পার্থ চক্রবর্তী স্ট্রিট লাইট নিয়ে অনিয়মের কথা বলেন। এসব শুনে এদিনের বৈঠকের আহ্বায়ক রাজ্যের মন্ত্রী চন্দননগর পুরসভার মেয়রকে চরম ধীক্কার জানান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!