এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, মমতা পুলিশের ঘুম ছোটালেন শুভেন্দু!

বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, মমতা পুলিশের ঘুম ছোটালেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের পুলিশের মেরুদন্ড বলতে যে আর কিছু নেই, এটা সকলেই জানে। রাজ্যের মানুষের কাছে এই পুলিশ এতটাই বিরক্তি কর হয়ে গিয়েছে যে, এদেরকে সম্মান, শ্রদ্ধা কিছুই করতে মন চায় না। আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের পক্ষ থেকে যে কথা বলা হয়, সেটাই এই পুলিশ করে। তারা অপরাধীদের ধরতে ভুলে গিয়েছে। তাদের একটাই কাজ, শুধুমাত্র বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া। তবে সবকিছুরই একটা সীমা আছে। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে এই সরকারকে টাইট দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, মিথ্যে মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করানো যাবে না। বারবার আদালতে গিয়ে তিনি এই পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে রাজ্য যে ভুল পথে হাঁটছে, তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছেন। আদালত থেকে জয় নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও বারবার কানমলা খেয়েও দিদিমনির ধামাধরা এই পুলিশের শিক্ষা হয় না। খেজুরিতে আবার তারা নোংরামো শুরু করে দিয়েছে। তাই লোকসভা ভোটের আগে পুলিশকে উচিত জবাব দিতে ফের আদালতে যাওয়ার হুংকার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, আজ 14 মার্চ নন্দীগ্রামের বশ্যতা বিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তি হিসেবে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর তারপরেই সোজা খেজুরি থানায় চলে যান তিনি। যেখানে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “কেন এইভাবে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে?” পরবর্তীতে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে, সেই সব বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তিনি আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করবেন। অর্থাৎ আইনের রাস্তায় এই পুলিশের বিরুদ্ধে হাটতে যে বাধ্য হচ্ছে বিরোধী দল, তা স্পষ্ট করে দেন শুভেন্দুবাবু। অবশ্য এমনটা না করলে এই পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত কোনো উপায় থাকবে না। এরা ওপর তলা থেকে যা বলে দেওয়া হবে, সেটাই করবে। তাই তাদের নির্লজ্জতাকে বন্ধ করার জন্য আইনের দরজায় বারবার গিয়ে তাদের কানটা ভালো করে মলে দেওয়া উচিত। আর সেটাই এবার শুভেন্দু অধিকারী করলেন এই খেজুরি থানার দলদাস পুলিশের বিরুদ্ধে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যাদের মাথায় ন্যূনতম বুদ্ধি নেই, তারাও এত মূর্খামি করে না, যেটা এই রাজ্যের পুলিশ করছে। পুলিশ, প্রশাসনের এই স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যায়ভাবে মিথ্যে মামলা দেওয়ার কাজ যে পুলিশের নয়, সেটা বারবার আদালত বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। যে সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তাদের একটাই অপরাধ, তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। আর শুভেন্দু অধিকারী যেখানে রয়েছেন, সেখানে তো ভয়ে তটস্ত হয়ে সবকিছুকে নিজের কন্ট্রোলে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেটাই স্বাভাবিক। তিনি তো শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে প্রচন্ড ভয় পান। কারণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন এই শুভেন্দু অধিকারীই। তাই তার অনুগামীদের বিজেপি কর্মীদের আরও বেশি করে মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করানোর চেষ্টা হচ্ছে রাজ্যের তরফে। তবে লড়াই যখন করতে এসেছেন, তখন এত সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন শুভেন্দু অধিকারীও। বাম আমলে সিপিএমের মত শক্তির সঙ্গে তিনি লড়াই করেছেন, এখনও লড়াই করছেন তৃণমূলের মত ভয়ংকর শক্তির সঙ্গে। তাই আদালতের দরজায় গিয়ে এই রাজ্যের পুলিশকে আরও একবার শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই নিরীহ মানুষদের ওপর মামলা দিয়ে যে নির্যাতন এই পুলিশ করছে, তাতে তাদের মুখোশ খুলে দিতে শুভেন্দু অধিকারী নিচ্ছেন বড় পদক্ষেপ। আর এতে আরও একবার প্রবল ভাবে ধাক্কা খাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলদাস পুলিশ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!