এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূল পারছে না তাই পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! তাও পারবে না আটকাতে! অনুব্রতে গড়ে হুঙ্কার বিজেপির!

তৃণমূল পারছে না তাই পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! তাও পারবে না আটকাতে! অনুব্রতে গড়ে হুঙ্কার বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলায় পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি শাসক দল তৃণমূলকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছিল। এরপর আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তাদের সংগঠনকে মজবুত করে এই জেলায় আরও ভালো ফল লাভের চেষ্টায় বিজেপি শিবির। এজন্য করোনা সংক্রমণ কালেও একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে জেলা বিজেপিকে। কিন্তু এর মাঝেই চলতি মাসে একাধিকবার রামপুরহাট, সিউড়ি থানায় জেরার সম্মুখীন হলেন বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি সহ শ্যামাপদ মন্ডল। ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে তাঁর জেরা।

তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রথমত, পুলিশকে তিনি একাধিকবার হুমকি যেমন দিয়েছেন, তেমনি মাস্ক পরিধান না করে, সামাজিক দূরত্ব বিধি না মেনে একাধিকবার তিনি অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন থানার বাইরে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পুলিশের এইসব অভিযোগকে আমল দিতে একান্তই নারাজ বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। এক মাসে বারবার এই পুলিশি জেরা প্রসঙ্গে তিনি ও দলের অন্যান্য সদস্যেরা অভিযুক্ত করেছেন শাসক দল ও সেইসঙ্গে পুলিশকে। তাঁর দাবি, একাধিক মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা করছে শাসক দল। যাদের মূল উদ্দেশ্য বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি নষ্ট করে। সমস্ত বিষয়টির মধ্যেই তিনি শাসকদলের ষড়যন্তের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।

তাঁর উপরে বারবার এই পুলিশি জেরা সম্পর্কে তাঁর অভিযোগ, ” শাসকদল নিজেরা পারছে না বলেই পুলিশকে ব্যবহার করছে। আমার বিরুদ্ধেই অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে। এই জেলায় অন্তত দেড় হাজার মামলায় আমাদের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীরা ফেঁসে হয় জেলে না হয়, বেলে (জামিনে) আছেন। যাঁকে জেলে ঢোকানো যাচ্ছে না, আমার মতো জেরা করার নামে থানায় ডেকে হেনস্থা করা চলছে।’’ কিন্তু এত করেও যে বিজেপির অগ্রগতি রুদ্ধ করা যাবে না বলে, তিনি জানিয়েছেন। তবে, তাঁর এই অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি পুলিশকে।

বিজেপির জেলা সভাপতির এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন আছে। এ রাজ্যের পুলিশও নিরপেক্ষ। তাই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ অবলম্বন করলে, আইনের শাসনকে অমান্য করলে, পুলিশকে আক্রমণ করলে, পুলিশের বিরুদ্ধে কুবাক্য প্রয়োগ করলে তাঁর বিরুদ্ধে যে আইনগত পদক্ষেপ পুলিশের নেওয়া উচিত পুলিশ তাই নিয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা বারবার আইনের অনুশাসন ভাঙার মতো কাজ করলেও সে বিষয়ে নীরব থাকে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লোকসভা ভোটের ফল দেখে বিজেপির এত আনন্দিত হওয়ার কারণই নেই। কারণ লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন কখনই এক নয়। এছাড়া তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জনসংযোগের অভাব, দলীয় কোন্দল, নিম্নস্তরীয়দের -ত্রুটি সংশোধন করে দলের সংগঠনকে তাঁরা শক্তিশালী করার কাজে নেমে পড়েছেন। কিন্তু বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি তাদের মতো নেই।

বিজেপি সম্পর্কে তৃণমূলের এই দাবি গুলি কিন্তু মোটেই অমূলক নয়। কারণ, বিজেপি দলের সাংগঠনিক শক্তি দৃঢ় নয়, তেমনি দলের মধ্যে প্রচন্ডভাবে বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্বের সমস্যা। দলের জেলা সভাপতির প্রতি অন্যান্য জেলা স্তরের নেতাদের আনুগত্যর অভাব যেমন আছে, তেমনি জেলা সভাপতির দল পরিচালনা নিয়েও একাধিকবার একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিবস পালনকে কেন্দ্র করে সিউড়ির সাহিত্য পরিষদ হলে বিজেপি দলের কিসান মোর্চার জেলা সভাপতি সোমনাথ ঘোষে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বিষেদাগার করলেন। আবার গতমাসে দলবিরোধী কার্যের জন্য দল থেকে বহিস্কৃত হওয়া বিজেপি দলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল তাঁর প্রসঙ্গে বললেন, ” আগে দেখেছি, বিজেপি-র সামান্য কর্মীকেও এ ভাবে থানায় টেনে নিয়ে আসতে পারত না পুলিশ। আট–নয় ঘণ্টা জেরা করা তো দূরের কথা। অথচ সেটাই আমাদের মাননীয় জেলা সভাপতির সঙ্গে ঘটছে। বহিষ্কৃত হলেও মন থেকে এই ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। এটা দলের অসম্মান।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!