২৪ ঘন্টা না পেরোতেই ‘বিদ্রোহ’ শেষ! ‘ঢোঁক গিলে’ বড় ঘোষণা রাজ্যের সরকারি আইনজীবীদের কলকাতা রাজ্য July 23, 2019 কলকাতা হাইকোর্টে নিজেদের রনংদেহি মূর্তি দেখাতে গিয়ে মুখ পুড়ল বাংলার সরকারি আইনজীবীদের। গতকাল রীতিমত যে বিদ্রোহের সুর শোনা যাচ্ছিল, ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই, তার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সুর নরম করে ফেলতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীরা! কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে আর মামলা লড়তে আসবেন না কোনো রাজ্য সরকারি আইনজীবী, বিচারপতিকে বয়কট করা হল – এইসব ‘অগ্নিবাণ’ ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নিভে গেল! প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতা হাইকোর্ট চত্ত্বর সরগরম হয়ে আছে বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলা নিয়ে। আর এর প্রতিটাই প্রায় পুরসভা সংক্রান্ত। যে পুরসভা দখলে পদক্ষেপ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির, আর তা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সরকার পক্ষ বা তৃণমূলের হার হচ্ছে। প্রথমে, সব্যসাচী দত্ত মামলা, পরে বনগাঁ পুরসভা বা তারও পরে গঙ্গারামপুর পুরসভা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই যে আইনি সিদ্ধান্ত সামনে আসছে, তা রাজ্য সরকার বা শাসকদলের বিপক্ষেই যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রতি ক্ষেত্রেই এইসব মামলার শুনানি হয়েছে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। ফলে, হাইকোর্ট চত্ত্বরে কান পাতলেই, বিচারপতির উপর ‘অখুশি’ ভাবটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আইনজীবীদের ‘নির্দিষ্ট’ একটি অংশ থেকে। আর গতকাল সবমিলিয়ে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। সরকারি আইনজীবীদের তরফে – ‘অপমান করা হয়েছে’ ও ‘বিচারপতি রাজনৈতিক কথা বলছেন – ফলে, এই বিচারপতির কাছে ন্যায় ও সুবিচার প্রত্যাশা করা যায় না’ অভিযোগ তুলে, তাঁর এজলাস বয়কটের কথা জানানো হয়। এমনকি এই নিয়ে – প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয়াও হয়। যদিও, সরকারি আইনজীবীদের এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুণাভ ঘোষ-সহ ১১৬ জন আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে জানান, সরকারি আইনজীবীরা এ ভাবে এজলাস বয়কট করতে পারেন না, এটা নিয়মবিরুদ্ধ। এমনকি, আজ নিজের এজলাসে বসে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি সরকারি আইনজীবীদের সিদ্ধান্তের পরোয়া করেন না। কারণ, তিনি কোন কোন মামলা শুনবেন, তা ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি – সরকার ঠিক করে দেয়নি। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই দৃপ্ত ঘোষণার সাথে সাথেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, সরকারি আইনজীবীদের এই চাপের কাছে তিনি কিছুতেই মাথা নট করবেন না। তিনি তাঁর মতোই আইনের বিচার করে যাবেন। আর তার কিছুক্ষনের মধ্যেই, ‘বিদ্রোহে’ ইতি টেনে সরকারি আইনজীবীদের ঘোষনা, এজলাস প্রত্যাহারে জনমানসে ভুল বার্তা গিয়েছে। আজ সেই কারণেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -