এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস হতেই কি নড়ল টনক? শিক্ষা দপ্তর এবার 400 কর্মী নিয়োগের পথে

মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস হতেই কি নড়ল টনক? শিক্ষা দপ্তর এবার 400 কর্মী নিয়োগের পথে

গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় লাগাতার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরকে। সঠিক কর্মীর অভাবেই কি ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের সবথেকে প্রথম বড় পরীক্ষায় এহেন দুর্যোগ নেমে এসেছিল! এখন সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে সর্বত্র। তবে এই প্রশ্নের নির্দিষ্টভাবে কোনো উত্তর পাওয়া না গেলেও এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগী হচ্ছে পর্ষদ।

জানা গেছে, বর্তমানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে প্রায় সাড়ে সাতশো অনুমোদিত পদ রয়েছে। কিন্তু সেই জায়গায় কর্মীর সংখ্যা সাড়ে তিনশোর মত। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সেই শূন্যপদ পূরণের জন্য বিকাশ ভবনে স্কুল শিক্ষা কমিশনের সৌমিত্র মোহনের উপস্থিতিতে পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

অনেকে বলছেন, গত বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র নিয়ে যেভাবে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, সেই বিভ্রাট এড়াতেই এই কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। কেননা পরীক্ষা নেওয়া ছাড়াও সাম্প্রতিককালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে অনেক দায়িত্ব এসে পড়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেওয়া, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ শুনানি করা, শাস্তি প্রদান ছাড়াও আরও একগুচ্ছ দায়িত্ব। কর্মীদের সংকটের কারণে এইসব কাজে ব্যাপক সমস্যা পোয়াতে হচ্ছে পর্ষদকে। আর তাই কর্মীদের ঘাটতি যাতে কমানো যায়, তার জন্যই এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হল বলে মনে করছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, পর্ষদ সভাপতির সরকারি গাড়ি এবং পর্ষদ নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা হয়, এমন কিছু গাড়ি কিছুদিন আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল যে, গাড়িগুলোর ইঞ্জিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই গাড়িগুলো তুলে নিলেও তার জন্যে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এদিন এই ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেই জানা গেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব পদটি ফাঁকা থাকলেও সেই পদ পূরণের জন্য কোনো প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে রাজ্যজুড়ে শিক্ষকদের অনলাইনে স্টাফ প্যাটার্ন তৈরীর কাজ চলায় তা নিয়েও অনেক শিক্ষকদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই আশঙ্কা, তাদের বেতন কমে যেতে পারে অথবা তাদের পদমর্যাদার অবনতি হতে পারে।

এদিন এই প্রসঙ্গে অ্যাডহক কমিটিতে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর পরে স্কুলগুলোকে নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হোক। 4 নভেম্বর থেকে 15 দিনের শিবির করা হবে বলে ঠিক হয়েছে‌। পর্ষদকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!