এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুজোতে জনসংযোগ বাড়াতে বঙ্গ বিজেপিকে নয়া নির্দেশ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ

পুজোতে জনসংযোগ বাড়াতে বঙ্গ বিজেপিকে নয়া নির্দেশ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ


সামনেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যেই প্রতিটি দলই নিজেদের রাজনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দেশ হোক বা বিদেশ! কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করে ময়দান কাপাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন শারদোৎসবে বিজেপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে পারে বলেও অভিযোগ আনছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঠিকই। তবে দাঙ্গা নয়, বাংলার মানুষের মনে বেশি করে জায়গা পেতে এবার পুজো মন্ডপগুলিকেই বেছে নিল গেরুয়া শিবির।ইতিমধ্যেই এবার সমস্ত পুজো মন্ডপকে 10 হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাই সেই দিক থেকে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় বিজেপিও। সূত্রের খবর, এবারে বাংলার প্রতিটা পুজো প্যান্ডেলে একটি করে বুক স্টল অথবা জলসত্রের ব্যবস্থা রাখার জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দিচ্ছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তবে শুধু বইয়ের স্টল বা জলছত্রই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের প্রচারও নানা পুজো মন্ডপে তুলে ধরবেন বঙ্গ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।পাশাপাশি এবারে সেই বুক স্টল, জলসত্র, শারদীয়া শুভেচ্ছার ফ্লেক্স, সবকিছুর পরিমাণ পাঁচগুণ বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিজের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

জানা গেছে, গতবার রাজ্যের বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে বিজেপির তরফ থেকে এই বুক স্টল এবং জলসত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজারের মত। আর এবার তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করার টার্গেট নিয়েছে তাঁরা। শুধু তাই নয়, গতবারের থেকে এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি সহ শারদীয়া শুভেচ্ছার ফ্লেক্সের সংখ্যাও এবার বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার যা ছিল ১০ হাজারের কাছাকাছি এবার তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করতে বলা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এহেন উদ্যোগ কেন?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে বাংলায় নিযুক্ত বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সহনেতা সুরেশ পূজারি বলেন, “জনসংযোগ কর্মসূচী বিজেপির পুজো উদযাপনেরই একটি অঙ্গ। বুক স্টল, জলছত্রের পাশাপাশি পুজো প্রাঙ্গনকে পরিস্কার রাখতে প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারতের প্রচারও চালানো হবে।” তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের তৃনমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠেকাতেই এই পরিকল্পনা বিজেপির? এই প্রসঙ্গে সুরেশ পূজারি বলেন, “জনসংযোগকে রাজনীতি হিসাবে দেখবেন না। পুজো আর রাজনীতি দুটো আদালা বিষয়।” তবে বিজেপি নেতারা স্বীকার করুন বা না করুন এইসবই যে আগামী লোকসভায় বঙ্গে পদ্ম ফোটানোরই চেষ্টার একটি অঙ্গ তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!