প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজকে দিনভর চর্চা হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ঘিরে। কার্যত ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্ট আজকে তদন্তভার তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে, পাশাপাশি সিট গঠন করে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পুরো বিষয়টি তৃণমূল সরকারকে চাপের মুখে ফেলে দিল বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, হয়তো রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টে যেতে পারে। আর এই গুঞ্জন সত্যে পরিণত হওয়ার আগেই ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হলো।

কার্যত সময়ের সাথে সাথে ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলা নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে যে ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন সেই জনৈক অনিন্দ্যসুন্দর দাস সুপ্রিম কোর্টে তড়িঘড়ি ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন। কার্যত হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্টে রাজ্য সরকার গেলে যাতে আদালত এক তরফা শুনানী না করে, সেই কারণেই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হলো বলে জানা গিয়েছে।

আজকে হাইকোর্টের তরফ থেকে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে। আদালত আজকে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কোথাও নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হয়নি। কার্যত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁদের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অনেকে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু কোন অভিযোগই শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি আদালতে।

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষেত্রে খুন ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিল মানবাধিকার কমিশন। কার্যত কমিশনের সেই অনুরোধই আজকে হাইকোর্টের নির্দেশে বলবত হল বলে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে যাবার আগেই রাজ্য সরকার আরো একবার ধাক্কা খেলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আপাতত আগামী পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য ওয়াকিবহাল মহল।