এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিচুতলায় কি উপরমহলের রাশ ক্রমেই আলগা হচ্ছে? বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে সভা মন্ত্রীর !

নিচুতলায় কি উপরমহলের রাশ ক্রমেই আলগা হচ্ছে? বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে সভা মন্ত্রীর !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হুগলী জেলাতে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই গত বৃহস্পতিবার জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা আকষ্মাৎ বন্ধ করে দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রবিবারের জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো। জেলার নতুন কমিটি নিয়ে তীব্র হয়ে উঠেছে অসন্তোষ। এরমধ্যে গত শুক্রবার দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীলকে। এই নেতাকে নিয়ে গতকাল সভা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। এই সভা মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল সত্যরঞ্জন শীলকে। এই সভাতে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত তাঁকে বেশ কিছু দায়িত্বও দিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীল বা সোনা শীল হলেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর অরিজিতা শীলের স্বামী। গত শুক্রবার দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল ব্যক্তিগত স্বার্থে তিনি দলকে ব্যবহার করছেন। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। সত্যরঞ্জন শীলকে দল বিরোধী কাজ কর্মের জন্য বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। গত শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন যে, সত্যরঞ্জন শীলের সঙ্গে কেউ যেন সম্পর্ক না রাখেন, কেউ যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করেন।

যদিও, বহিস্কৃত নেতা সত্যরঞ্জন শীল তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগকে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দলের কি কি অভিযোগ রয়েছে, তা তিনি দলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি বলে বলে, তাঁর দাবি। কিন্তু গতকাল রবিবার হুগলির সাহাগঞ্জ ডানলপ মাঠে বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে দেখা গেল সত্যরঞ্জন শীলকে। জেলার নতুন পদাধিকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এই সভাতে। এই সভামঞ্চ থেকে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানালেন, ” এখানে কিছু কল দরকার। সত্যরঞ্জনকে বলছি সব দেখে তাঁকে বিস্তারিত জানাতে। পুরসভাকে তিনি টাকা দিয়ে দেবেন, ওই টাকায় কাজ হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু একজন বহিস্কৃত নেতাকে কিভাবে মন্ত্রী কাজের দায়িত্ব পেতে পারেন? তা নিয়ে বিতর্ক ছড়ালো। অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে, দল বিরোধী কাজ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে যাকে বহিষ্কার করেছে দল, রাজ্যের একজন মন্ত্রী তাঁকে কিভাবে কাজের দায়িত্ব দিতে পারেন? আবার প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি করা কমিটি কি সবটাই লোকদেখানো নাটক? রাজ্য বা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বে কিভাবে উপেক্ষা করতে পারলেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত? আরও প্রশ্ন উঠেছে, দলে কি নিচুতলার উপরে উপরমহলের রাস ক্রমশই শিথিল হয়ে পড়ছে?

এদিকে হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। দলের বহু নেতাকর্মী আবার নন্দীগ্রামে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের দলের নেতা। তাঁর সভায় যেতে তো নিষেধ করা হয়নি। এদিকে নতুন জেলা ও ব্লক কমিটিতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বেশকিছু নেতা স্থান পেয়েছেন বলে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য সহ অনেকেই দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলত্যাগের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। এই সবকিছু নিয়েই চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!