এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভনকে দলে ফেরাতে বৈশাখীকে নিয়ে বড়সর দাবি পার্থর, জেনে নিন

শোভনকে দলে ফেরাতে বৈশাখীকে নিয়ে বড়সর দাবি পার্থর, জেনে নিন


বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে মেয়র পদ এবং মন্ত্রীপদ খোয়াতে হয়েছিল তাকে। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে পড়ে সেইভাবে রাজনীতির রণাঙ্গনে আর দেখা যাচ্ছিল না তৃণমূলের শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

আর এরই মাঝে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে তার মানভঞ্জন করে আবার দলে ফিরে আসেন, তার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব তৎপর হয়ে ওঠে। মাঝে শুনতে পাওয়া যায় যে, কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় দিল্লী উড়ে গিয়েছেন।

আর সেখানেই তার বিজেপি যোগের জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঘাসফুল শিবিরের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরে যোগ দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়।

আর এরপরই তৃণমূল নেত্রী তার বিশ্বস্ত দূতকে পাঠিয়ে, আবার কখনও বা কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে ফোন করিয়ে সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় হওয়ার বার্তা পাঠান। তবে এতেও লাভের লাভ কিছু হয়নি।

কিন্তু এবার অবশেষে সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মানভঞ্জন করতে মাঝরাতে তার বাড়িতে এলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের বাড়িতে যান শিক্ষামন্ত্রী। আর এরপরই রাত দেড়টার পর তাকে সেখান থেকে বের হতে দেখা যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

তাহলে কি অবশেষে দলের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে মধুর হয়, তার জন্য দলের সহকর্মী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মানভঞ্জন করতে তার বাড়িতে উপস্থিত হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! জানা গেছে, এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বৈঠক করতে নয়। শোভনবাবু এবং পার্থবাবু পরস্পরের রাজনৈতিক সহকর্মী। সহকর্মী হিসেবেই তিনি দেখা করতে এসেছিলেন। ঘটনাচক্রে সেখানে আমিও ছিলাম। তাই দুজনের সঙ্গে আমারও অনেক কথা হয়েছে।”

কিন্তু দুইজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তাও দুজনই একই দলের, তারা কথা বলবেন অথচ সেখানে রাজনীতির বিন্দুমাত্র বিষয় আসবে না, এটা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য! এদিন এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুজন রাজনৈতিক সহকর্মী যখন একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন, তখন রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয় না, এটা ঠিক নয়। পার্থবাবুর সঙ্গে শোভনদার রাজনীতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আবার রাজনীতির বাইরেও অনেক কথা হয়েছে।”

তাহলে কি অবশেষে দলের মূল স্রোতে ফিরে আসার জন্যই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আর্জি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! এমনকি তিনি এও বলেন, ‘তুই ফিরলে দলে বৈশাখীরও একটা জায়গা হবে’।তখন শোভনও নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর কাছে। বিভিন্ন সময়ে দলের মধ্যে তাঁকে যেভাবে অপদস্থ করা হয়েছে সেকথা জানান তিনি। বৈশাখিও পার্থর কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।

কিন্তু তাতে কি রাজি হলেন শোভনবাবু! এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলী উত্তর, “আলোচনা অনেক বিষয়ই হতে পারে। তবে সব আলোচনাই যে একটা ইতিবাচক উপসংহারে পৌঁছোবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে তার মন গলানোর চেষ্টা করলেও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই স্পষ্ট যে, শোভনবাবু অত সহজে তৃণমূলের হয়ে আর রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন না। তবে ভবিষ্যতে ঠিক কি হয়, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!