এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আসল খেলা শুরু! সাতসকালে ইডি অভিযান হতেই গর্জে উঠলেন দিলীপ!

আসল খেলা শুরু! সাতসকালে ইডি অভিযান হতেই গর্জে উঠলেন দিলীপ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে “খেলা হবে” নামক স্লোগান দিয়ে সকলের কান ঝালাপালা করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর তৃণমূলের পক্ষে কোনো ঘটনা এলেই তারা খেলা হবে, খেলা হবে বলে সকলকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। কিন্তু শীতের সকালে হয়ত এবার আসল খেলাটা শুরু হয়ে গেল। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি তো ছিলই, এবার পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে ইডি আধিকারিকদের পৌঁছে যাওয়া রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

অনেকে ভেবে নিয়েছিলেন যে, সন্দেশখালির ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সংস্থা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেবে। কিন্তু তেমনটা তো হলোই না। উল্টে আরও অ্যাকশন মুডে ফিরে এল ইডি। আজ একের পরে হেভিওয়েটের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পৌঁছে যাওয়ার পর মনে করা হচ্ছে যে, এবার বঙ্গ রাজনীতিতে হয়ত তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বড় খেলা হতে চলেছে। এদিন সাতসকালে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর অনেকেই বলছেন, এই রাজ্যের শাসক দল এখন চরম চাপে রয়েছে। তাদের নাভিশ্বাস ওঠার যোগার। কিন্তু কি এমন বললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি?

প্রসঙ্গত, এদিন সাতসকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পৌঁছে যায় রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় সহ একাধিক হেভিওয়েটের বাড়িতে। যেখানে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি চলছে বলে খবর। আর সেই বিষয় নিয়েই এদিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এতদিন তো খেলা হবে, খেলা হবে শুনছিলাম। কিন্তু কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। তবে এবার হয়ত আসল খেলা শুরু হয়েছে। এবার খেলাটা হবে। যারা দুর্নীতি করেছে, যারা অত্যাচার করেছে মানুষকে, তাদের প্রত্যেককে শাস্তি পেতে হবে।”

একাংশের মতে, যে পরিস্থিতি এই রাজ্যের করে রেখেছে তৃণমূল, তাতে এই রাজ্যে ক্ষমতার বদল হলেও মাথা তুলে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগবে। তাই আর একদিনও সময় নষ্ট না করে তৃণমূলকে ক্ষমতায় রাখা বিপদজনক। কিন্তু ভোট না আসলে এদেরকে সরানোও যাবে না। সব জায়গায় চুরি করা এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এতদিন খেলা হবে স্লোগান দিয়ে মানুষকে শোষণ করে, মানুষের উপর অত্যাচার করে এরা গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছিল। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে ট্রিটমেন্ট শুরু করেছে, তাতে তৃণমূলের বিপক্ষে খেলা শুরু হয়েছে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধেই এবার খেলতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যারা চুরি করেছেন, তারা এবার জেলে যাবেন। সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে এই রাজ্যের শাসক দল। মানুষের টাকা লুট করে তারা এতদিন ক্ষমতা ভোগ করেছিলেন। কিন্তু এবার তদন্তকারী সংস্থা অ্যাকশন নিতে শুরু করেছে। তাই তৃণমূল নেতারা যারা চুরি করেছেন, তারা এবার ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় গলে গিয়ে এই রাজ্যের গণতন্ত্র প্রেমী মানুষ তাকে অনেক ভরসা করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এই ভদ্রমহিলা মুখ্যমন্ত্রী হলে রাজ্যকে আমূল বদলে দেবেন। কিন্তু বামেরা যে পরিস্থিতিতে রাজ্যকে ফেলে রেখে গিয়েছিল, তার থেকেও করুণ পরিস্থিতি তৈরি করেছে এই তৃণমূল সরকার। সব জায়গায় শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। তাই তদন্তে একাধিক নেতা মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন, আবার অনেকের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

অনেকে ভেবে নিয়েছিলেন যে, সন্দেশখালির ঘটনার পর আর ইডি সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তারা তাদের তদন্তকে গুটিয়ে নেবে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে দূরীভূত করে সাত সকালে যে মাস্টারস্ট্রোক কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়েছে, তাতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক বড় ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। যারা এতদিন দুর্নীতি করেছেন, যারা ক্ষমতা পেয়ে মানুষকে বোকা বানাতে শুরু করেছিলেন, এবার তাদের সঙ্গেই হতে পারে চরম খেলা। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!