এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যজুড়ে হাহাকার, তবুও লজ্জা নেই মমতার! বিক্ষোভ নিয়ে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!

রাজ্যজুড়ে হাহাকার, তবুও লজ্জা নেই মমতার! বিক্ষোভ নিয়ে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রায় প্রতিদিন হয় কলকাতা, তা না হলে জেলায় শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ সংঘটিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় একটাই দাবি যে, প্রকৃত প্রাপক হওয়া সত্ত্বেও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কোনো জায়গায় আবার অভিযোগ উঠছে, টাকার বিনিময়ে সেই চাকরি অন্য কাউকে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই দুর্নীতি, স্বজন পোষণ, শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের প্রাধান্য না দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে এই রাজ্য সরকার। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে না কিছুতেই। বাঁকুড়া জেলায় প্রশাসনিক দপ্তরের অফিসের সামনে বেশ কিছু মানুষ আবার আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের একটাই দাবি, হয় কাজ দিন, তা না হলে মৃত্যু দিন। আর এই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করতেই তিনি রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন এই সরকারকে। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার উঠে এসেছে যে, এই রাজ্যে কিভাবে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের টুটি চিপে হত্যা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন বাঁকুড়ার এই বিক্ষোভ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটা তো গোটা রাজ্যজুড়েই চলছে। কোথাও মহিলারা কেশ মুন্ডন করছেন। মহিলাদের কেশ, তাদের অলংকার। সেটাও তারা কেটে ফেলে দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করে কোথাও গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা ফাঁসির মঞ্চ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই তো রাজ্যের পরিস্থিতি। গোটা রাজ্য জুড়ে হাহাকার অবস্থা।” একাংশের মতে, এই সরকারের লজ্জা থাকলে এতদিনে তারা বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে যারা বঞ্চনার দাবিতে আওয়াজ তুলছেন, তাদের দিকে নজর দিতেন। কিন্তু সরকার কিছুই করবে না। তারা শুধু চুরি করবে এবং মানুষের টাকা লুট করবে, এটাই তাদের হ্যাবিট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে কাজ না পেয়ে বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখন ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে সেই বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ। তবে যেখানে সরকার নীরব, সেখানে কি আর করার থাকতে পারে? তাই প্রতিবাদ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরালে সুদিন ফিরবে না বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যেখানে মহিলারা মাথার চুল কেটে ফেলেন, সেখানে কোনো কিছু আর অবশিষ্ট আছে কি? যদি সরকারের বিন্দুমাত্র মানবতা বোধ থাকত, তাহলে তারা সেদিনই পদক্ষেপ নিতেন। কিন্তু তারপরেও যখন তারা কিছু করেননি, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে, এদের শুধু মুখেই বড় বড় ডায়লগ রয়েছে। এরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে। কিন্তু বেকার যুবক-যুবতীদের দিকে দৃষ্টি দিতে পারে না। তাই রাজ্যের মানুষকে সজাগ হতে হবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে এদেরকে বিদায় না জানালে রাজ্যের মানুষ পরিত্রাণ পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষমতায় আসার আগে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি সব বেকারদের সমস্যার সমাধান করে দেবেন। দু কোটি চাকরি দেবেন। কিন্তু চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, যারা শিক্ষিত হয়ে বসে আছেন, তাদের চাকরি না দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য কাউকে চাকরি দিয়েছে এই সরকার। যার ফলে জেলে গিয়েছেন মন্ত্রীরা। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ এক ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। তবে এর সমাধান একটাই, এই সরকারকে বিদায় জানানো। তাই শিক্ষিত সমাজকে আরও জাগতে হবে। নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোটাধিকার প্রয়োগ পর্যন্ত। আর সেখানে ঠিকমত নিজেদের মতামত দিতে পারলেই নতুন সূর্যোদয়ের সম্ভাবনা দেখবে বাংলা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!