এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষক সমাজের, বড়সড় আন্দোলনের ইঙ্গিত

বিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষক সমাজের, বড়সড় আন্দোলনের ইঙ্গিত


গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্যের শিক্ষক সমস্যার সমাধানে ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফে এক অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবার থেকে গ্র্যাজুয়েশন করলেই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুলে যাবে স্কুলে স্কুলে ইন্টার্নশিপের দরজা। কিন্তু, এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার হল বিজেপি শিক্ষক সেল।

বিজেপি শিক্ষক সেলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মাসিক ২,০০০-২,৫০০ টাকা ভাতায় ইন্টার্নদের নিয়োগের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চাইছেন। সংগঠনের আরও দাবি, বর্তমানে রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে লক্ষাধিক সংখ্যক শিক্ষক পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অথচ রাজ্য সরকার গত ছয় বছর ধরে SSC-এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে একটি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি।

একইসঙ্গে সংগঠনের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ বি.এড. এবং ডি.এল.এড. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যেসব যুবক-যুবতীরা শূন্যপদে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা রাজ্য সরকার TET এবং SSC-এর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে মাসিক দু-আড়াই হাজার টাকা ভাতায় ইন্টার্নশিপ প্রথা চালু করতে চাইছে। যা একদিকে রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলছে – অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি শিক্ষক সেলের রাজ্য কনভেনার দীপল বিশ্বাস জানান, যে সমস্ত যুবক-যুবতী বি.এড. এবং ডি.এল.এড. প্রশিক্ষণ নেন তাঁদের প্রশিক্ষণের সময় এমনিতেই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করাতে হয়। ফলে নতুন করে আর ইন্টার্নশিপের প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। মুখ্যমন্ত্রী এই ইন্টার্নশিপ চালুর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চাইছেন। মাসিক মাত্র দু-আড়াই হাজার টাকা ভাতা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে চলেছেন!

একইসঙ্গে দীপলবাবুর আরও বক্তব্য, মেলা-খেলা এবং দান-খয়রাতিতে রাজ্য সরকার দেদার টাকা ওড়াচ্ছে। কেবল সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন, বকেয়া ডিএ ও পে-কমিশন দিতে গেলেই রাজ্য সরকারের টাকা নেই! আমরা বিজেপি শিক্ষক সেলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে শূন্য পদে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। দীপলবাবুর তরফে এই নিয়ে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও ইঙ্গিত মিলেছে।

অন্যদিকে, বিজেপি শিক্ষক সেলের প্রাথমিক শাখার রাজ্য কো-ইনচার্জ সব্যসাচী ঘোষ জানান, বর্তমানে রাজ্যে যখন লক্ষ লক্ষ ডি.এল.এড. প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের অপেক্ষায় বেকার বসে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ চালুর প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। অবিলম্বে NCTE-র গাইড লাইন মেনে TET পরীক্ষার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তিনি। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমাজ যে নারাজ তা ক্রমশ সামনে আসছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!