উত্তরবঙ্গে কি সংগঠন নিয়ে চিন্তায় শাসকদল? চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ‘টোটকায়’ বাড়ল জল্পনা উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 2, 2018 রাজ্যের পঞ্চায়েতে ঘাসফুলের দাপটে বঙ্গ বিজয়ের স্বপ্নে ভাটা পড়েছে গেরুয়া শিবিরের। উন্নয়ন আর জনসংযোগ-জনতা জনাদর্নের আশীর্বাদ পেতে হলে এই দুইটি জিনিসই যে যথেষ্ট তা এখন ভালোই বুঝতে পারছেন শাসকদলের নেতা নেত্রীরা। আর তাইতো দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রায় সব নির্বাচনেই সাফল্যের মুখ দেখছে তাঁরা। কিন্তু রাজ্যটাতো শুধু দক্ষিনবঙ্গকে নিয়ে নয়, রয়েছে উত্তরবঙ্গও। কিন্তু সেই উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে এখনও কেন ঠিকমত থাবা বসাতে পারছে না ঘাসফুল শিবির? সূত্রের খবর, গত শনিবার শিলিগুড়িতে অনুষ্টিত দার্জিলিং জেলা মহিলা তৃনমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মশালায় জেলার নেতাদের মুখে উঠে এল হতাশার কথা। জেলায় দলের পরাজয় সম্পর্কে এদিনের সভায় আত্মসমালোচনার সুর শোনা যায় দার্জিলিং জেলা তৃনমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের গলায়। এদিন তিনি বলেন, “বলতে কোনো দ্বিধা নেই রাজ্যে হলেও এই শিলিগুড়ি বিধানসভা, পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ আমরা কোনোওটাতেই জিততে পারিনি। কিন্তু এবারে আর শৈথিল্য দেখালে চলবে না। দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে নিয়ে আগামীকাল থেকেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য বুথস্তরে যেতে হবে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে এদিনের সভায় জেলা তৃনমূলের সভানেত্রী সুস্মিতা সেনগুপ্ত জেলার 552 টি বুথের মধ্যে 480 টি দলীয় বুথ কমিটির কথা বললে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যের তৃনমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “বুথ কমিটি তৈরি না করলে কোনোওদিনই জেতা যাবে না।” পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের জন্য কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “সারা বাংলা যেখানে পারছে সেখানে শিলিগুড়ি পারবে না কেন? বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে অবগত করুন। আমার আশা, খুব শীঘ্রই শিলিগুড়ির মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করবেন।” সব মিলিয়ে এখন বাম দুর্গ শিলিগুড়ি দখলে নিজেদের সংগঠনের হাল ফেরাতে ময়দানে নামলেন তৃনমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আপনার মতামত জানান -