এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর পাড়াতেই মাদক ব্যবসার রমরমা! পুলিশে গেল তৃণমূল! শোরগোল রাজ্যজুড়ে!

রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর পাড়াতেই মাদক ব্যবসার রমরমা! পুলিশে গেল তৃণমূল! শোরগোল রাজ্যজুড়ে!


আইনরক্ষকদের সামনেই আইনকে পদদলিত করার অনেক ঘটনা এরাজ্যে ঘটেছে। তবে সাধারণ মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সুরক্ষায় নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করলেও, সেই প্রার্থীদের নাকের ডগা দিয়ে যখন আইনবিরুদ্ধ কাজ হয়, তখন নিঃসন্দেহে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শিলিগুড়ি শহরের 17 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। কলেজপাড়া, বাঘাযতীন পার্ক, চিলড্রেন পার্ক, সুভাষপল্লী, হাকিম পাড়ার মত বেশকিছু অভিজাত এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে ওয়ার্ড।

কিন্তু সভ্য মানুষদের বসবাসের কেন্দ্রস্থল এই এলাকায় এখন মাদকাসক্ত যুবকদের দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে এলাকার গৌরব যেমন নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনই চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনাও লাগাতার ঘটে চলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্নিবিষ্ট এই এলাকায় সন্ধ্যে নামার সাথে সাথেই মদের ঠেক বসতে শুরু করে। চলে বাইক বাহিনীর দাপট। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেও সেই মাদকাসক্ত যুবকদের হাত থেকে কেউ রেহাই পাবে না, এই আশঙ্কায় সবাই নীরবে রয়েছেন।

তবে সাধারন মানুষরা কোনো প্রতিবাদ না করলেও, এই এলাকায় তৃণমূলের বাঘা-বাঘা নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাস। ফলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে মন্ত্রী গৌতম দেব কেন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেন না, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা গেছে, এই এলাকার কাউন্সিলর গৌতমবাবুর স্ত্রী। ফলে তার ভূমিকা নিয়েও জনমানসে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের দুর্গতি কাটাতে এবং এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে এবার তৃণমূলের একাংশকে স্থানীয় পুলিশের শরণাপন্ন হতে হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে 17 নম্বর ওয়ার্ড কমিটির তৃণমূলের সম্পাদক সংগ্রাম সিংহমিত্র বলেন, “কয়েকদিন আগে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মাদকাসক্ত যুবক, ছিনতাইকারী ও বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্যের অভিযোগ মেলে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতেই এদিন পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি টাউন 2 নম্বর তৃণমূলের সভাপতি বেদব্রত দত্ত বলেন, “ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই এই এলাকার গুরুত্ব বাড়ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা থাকায় পড়াশোনা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এখানে মাদক ও মাদক কারবারি সহ দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি উদ্বিগ্ন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুলিশকে জানিয়েছি।” কিন্তু এই ঘটনা তো একদিনে ঘটেনি! কেন প্রথম থেকে এই ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই দুষ্কৃতীদের দমন করতে তিনি উদ্যোগ নিলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব মুখ খুলেছেন।

তিনি বলেন, “ওয়ার্ড কমিটি ডেপুটেশন দিয়েছে আমি জানি। পুলিশকে আমিও বহুবার ওই মদ ও মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওই সব অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা আমি পুলিশকে আবার বলব।” তবে গৌতমবাবু যে কথাই বলুন না কেন, তার এলাকায় এই ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটে চললেও, নিজের এলাকার সুরক্ষায় যে জনপ্রতিনিধি ঠিকঠাক সচেতন নন, তিনি কি করে গোটা বিধানসভার দায়িত্ব সামলাবেন! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!