এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতেই “গায়েব” 7 পঞ্চায়েত সদস্য! শুরু তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতেই “গায়েব” 7 পঞ্চায়েত সদস্য! শুরু তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েন


লোকসভা নির্বাচনে এবার উত্তরবঙ্গে ধরাশায়ী অবস্থা হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটিতেই ফুটে গিয়েছিল পদ্মফুল। আর একটি গিয়েছিল হাত শিবিরের দখলে। আর নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব যে পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থার উপর পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল প্রত্যেকেই। সেই মত উত্তরবঙ্গে এই লোকসভার ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা তাদের জার্সি বদল করতে শুরু করেন।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি দলবদল সংগঠিত হতে দেখা যায় কোচবিহার জেলায়। তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপি টিকিটে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় তিনি তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধিকে বিজেপিতে নিয়ে আসতে শুরু করেন। তবে বিজেপিতে আসার পর তারা আবার তৃণমূলে ফিরে যান। যার ফলে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে কোচবিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

পাইকারি বাজারের দাঁড়িপাল্লার মত কোনো সময় ভরকেন্দ্র হয় তৃণমূল, আবার কোনো সময় ভরকেন্দ্র হয় বিজেপি। সম্প্রতি কোচবিহারের দিনহাটা 2 ব্লকের নাজিরহাট 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে লোকসভার ফলাফলে বিজেপি সাফল্য পাওয়ায় যেমন তৃণমূলের অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল সাফল্য পাওয়ায় তাদের দিকে যে অনেকেই ফিরে আসবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশেষে হলও তাই। আর এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিবাদে জড়িয়ে পড়ল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটা 2 ব্লকের নাজিরহাট 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়ি থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায়।

তিনি বলেন, “দিনহাটার নাজিরহাট 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের হার্মাদরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। জেলাজুড়ে তৃণমূল আমাদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সদস্যদের এভাবে দলবদল করাতে বাধ্য করছে।” তবে বিজেপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে নাজিরহাট 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ডিম্পল রায় পাল্টা মুখ খোলেন।

তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যদের জোর করে উঠিয়ে নেওয়া যাওয়ার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। ওরা সকলেই তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। পরে বিজেপি ওদের ভয় দেখিয়ে জোর করে তাদের দলে নিয়ে যায়। রাজ্যের 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল দেখে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা ফের তৃণমূলে আসার আবেদন জানিয়েছেন।”

একইভাবে বিজেপির করা অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। আর তৃণমূল এবং বিজেপির এই পঞ্চায়েত সদস্যদের গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে যে তরজা শুরু হয়েছে কোচবিহারে, তা চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের এই টানাটানিতে কারা সাফল্য লাভ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!