এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কাল ইডি দপ্তরে যাচ্ছেন মহারাজ! কড়া পদক্ষেপ নেবে এজেন্সি? সোচ্চার বিজেপি!

কাল ইডি দপ্তরে যাচ্ছেন মহারাজ! কড়া পদক্ষেপ নেবে এজেন্সি? সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- জন্মদিনের দিনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলার যুবরাজ। মুখে অনেক বড় বড় কথা বলেন, তিনি নাকি এক পয়সাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। অথচ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে কয়লা, গরু, বালি নিয়ে। বিরোধীরা লাগাতার তাকে আক্রমণ করেন। কিন্তু তারপরেও তার লজ্জা নেই। উল্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তাকে জেরা করবার জন্য ডেকে পাঠায়, তখন তিনি এবং তার দলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এটা নাকি যুবরাজের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করা হচ্ছে! তবে আগামীকাল যখন তাকে ডাকা হচ্ছে, তখন সেই নোটিশ পাওয়ার পর তিনি কি সেই ডাকে সাড়া দেবেন, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। অবশেষে নিজে কিছু না বলে নিজের দলের এক মুখপাত্রকে দিয়ে তিনি যে যাচ্ছেন, তা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের স্বনামধন্য যুবরাজ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে চেয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যেখানে বৃহস্পতিবার তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে সকাল 11 টায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে অবশ্য তাকে যখন নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তখন তিনি দাবি করেছিলেন যে, প্রতিহিংসা আচরণ করা হচ্ছে। এবারেও সেই নাটকীয় দাবি তার দলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। তবে তিনি যে যাচ্ছেন, সেই কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন যাচ্ছেন তো যুবরাজ এবার যা খেলা দেখানোর তা কি দেখাতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের কাছে প্রমাণ নেই যুবরাজের বিরুদ্ধে, এটা বললে ভুল হবে। এটা অন্তত বিরোধীরা বিশ্বাস করতে চাইছে না। তাই ডাকাডাকি তো হচ্ছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবার বাইরে বেড়িয়ে যুবরাজ বড় বড় কথা বলবেন, সেই সুযোগ না দিয়ে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সাহস হবে তো ইডি কর্তাদের, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বিজেপির দাবি, আলালের ঘরের দুলাল ভাইপোকে আর ছেড়ে রেখে কোনো লাভ নেই। তার ইন্ধনে যে দুর্নীতি হচ্ছে এবং হয়েছে, তার জন্য অনেকে গ্রেফতার হচ্ছেন। কিন্তু মূল মাথার গ্রেফতারি অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই তিনি বাইরে বেরিয়ে বড় বড় কথা বলবেন, এই সুযোগ তাকে দেওয়া মানে মুর্খামির পরিচয়। মানুষ দেখতে চাইছে, তাকে এবার ঘাড় ধরে ভেতরে ঢোকানো হোক। তাই সাধারণের দাবিকে মান্যতা দিয়ে যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই এবার একটা পদক্ষেপ নিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তা না হলে তাদের ওপর থাকা সামান্য ভরসাটুকুও ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো এমন একটা ভাব দেখান, যেন তিনি এই দুর্নীতির কিছুই জানেন না। অথচ তাকে বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে এজেন্সি। আর তারপরেও তৃণমূল নেতাদের মুখ থেকে বড় বড় কথা বেরোয় কি করে, সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারও একটা গা ঢিলেমি মনোভাব সাধারণ মানুষের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদি তারা নাই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, তাহলে কেন এই ডাকাডাকি! কি লাভ এসব করে? শুধুমাত্র লোক দেখানো জেরা করে কি আদৌ কোনো লাভ আছে! আদৌ মানুষের কাছে কি নিজেদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? যদি সেই কাজ করতে চান, তাহলে এবার চা খাইয়ে যুবরাজকে বাড়িতে পাঠিয়ে না দিয়ে এমন কিছু একটা করুন, যাতে সাধারন মানুষ ভরসা পায়। বিরোধীদের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!