শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের তল্লাশি! আসল খেলা কবে হবে? বড় প্রশ্ন বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 8, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার এই রাজ্যকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তা সত্যি ভাবার বাইরে। গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে আজকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, এই সরকার চুরি করেছে এবং টাকার বিনিময়ে কিছু মানুষকে চাকরি দিয়েছে। আর সেই টাকা ঢুকেছে নেতা মন্ত্রী আমলাদের পকেটে। তবে যারা এই গোটা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, মানুষের কাছে যখন তাদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে তখন কেন শুধু ডাকাডাকি এবং তল্লাশির মধ্যেই আটকে থাকা হচ্ছে! কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সঠিকভাবে নিতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। আর এর মাঝেই বঙ্গ বিজেপির নেতা শমীক ভট্টাচার্য যে কথা বললেন, তাতে মানুষের সঙ্গে বিজেপির বক্তব্য অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন। প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওয়েমার্শিটের যে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে, তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বসু রায় কোম্পানি। আর সেই বসু রায় কোম্পানির এক অন্যতম ব্যক্তি, যার বাড়ি মুম্বইতে। এদিন তার ফ্ল্যাটে এদিন হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেখানে তারা তল্লাশি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে আরো নতুন কোনো তথ্য সামনে আসতে পারে। কিন্তু অনেক তো তথ্যের হদিশ সামনে আনার জন্য এত দিন ধরে টানা তদন্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। মানুষ তো হাপিয়ে উঠেছে। তারা তো দেখতে চাইছে, এবার কাজের কাজ কিছু হোক। যারা দুর্নীতি করেছে, সেই মাথারা ধরা পড়ুক। তা না করে এই চুনোপুটিদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে কি হবে? এদিন সেই একই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে। বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিজেপির হয়ে কাজ করে না, এটা আজকে প্রমাণিত। তা না হলে পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনো বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে তারা যেত না। আসলে তৃণমূলের কাজ শুধু দোষারোপ করা। তাই তারা এই ধরনের কথা বলবেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বিজেপিও আজকে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছে। এত দিন ধরে তদন্ত চলছে। মানুষের জন্য আওয়াজ তুলছে বিজেপি। যে দুর্নীতি হয়েছে, তার সমূলে উৎপাটন করা হোক। সেই কারণেই এবার মানুষের দাবি তুলে ধরছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অবিলম্বে এই তল্লাশি বন্ধ করে আসল মাথাদের গ্রেপ্তার করা হোক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, একটা তদন্ত যখন চলে, তখন মানুষ অনেক আশা নিয়ে বসে থাকেন যে, সেই তদন্তের একটা ফলাফল বেরোবে। আজকে তৃণমূলও এই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করতে পারছে, তার কারণ, নিটফল দিনের শেষ জিরো। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এত দিন ধরে তদন্ত চলছে, তাই অবিলম্বে এবার মাধাদের ধরার দিকে নজর দেওয়া উচিত। তা না হলে মানুষের মনেও কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেই প্রশ্ন আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে। তাই মানুষের কথাই একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হয়ে তুলে ধরেছেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -