এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপি বিরোধিতায় ক্রমশ কাছাকাছি কংগ্রেস-তৃণমূল? একই ইস্যুতে সুর মেলালেন অভিষেক-রাহুল!

বিজেপি বিরোধিতায় ক্রমশ কাছাকাছি কংগ্রেস-তৃণমূল? একই ইস্যুতে সুর মেলালেন অভিষেক-রাহুল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবেই পরিচিত কংগ্রেস এবং তৃণমূল। একসময় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সিপিএমকে সরানোর জন্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেস গঠন করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা থাকলেও, রাজ্যে 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর সেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের তিক্ততা তৈরি হয়। বিরোধী দলের আসনে বসে জাতীয় কংগ্রেস। পরবর্তীতে বামেদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট অনেকটাই আলাদা।

এখন কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, সকলের একমাত্র বিরোধী হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আসার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে পেগাসাস ইস্যুতেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করা হয়েছে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস এবং তৃণমূল একে অপরকে পাশে পেতে চাইছে।

ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে দিল্লিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট গঠন করতে জাতীয় কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই জল্পনা যখন চরমে, ঠিক তখনই বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের কংগ্রেস এবং তৃণমূল যে কাছাকাছি আসতে চলেছে, তা রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই বিষয়ে ট্যুইটের মধ্যে দিয়েই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসাম- মিজোরাম সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই পরিস্থিতিতে একই বিষয়ে টুইট করে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করে রাহুল গান্ধী লেখেন, “নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আশা করছি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। মানুষের জীবনে ঘৃণা এবং হিংসার যে বীজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বপন করেছে, তা আরও একবার দেশের নাম খারাপ করল। ভারত এখন তার ভয়ঙ্কর ফল ভোগ করছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই ব্যাপারে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি লেখেন, “আসাম- মিজোরাম সীমানায় হিংসার ঘটনায় হতবাক ও স্তম্ভিত। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। বিজেপি সরকারের অধীনে এই ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটাচ্ছে।” আউ একই সুরে একই ইস্যুতে যেভাবে বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা, তাতে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল যে খুব তাড়াতাড়ি অত্যন্ত কাছাকাছি আসতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে বনিবনা না থাকার কারণেই হাইকমান্ডের সঙ্গে ঠিকমতো সম্পর্ক মধুর হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে সব সময় তৃণমূলের বিরোধীতা করে এসেছে বাংলার কংগ্রেস। যার ফলে তিক্ততার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে যে সমস্ত রকম শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তা কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে বা আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে যে তার কোনো অসুবিধা নেই, সেই কথাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

এমনকি দিল্লিতেও একাধিক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে আসাম-মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় একই টুইট করে আগামী দিনে যে বিজেপি বিরোধিতায় তারা এককাট্টা ভাবে লড়বে, তা কৌশলগতভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রকাশ্যে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের ব্যাপারে দুই দলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কোনো ঘোষণা করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!