এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি কারনে প্রাণ হারালেন মুকুল ঘনিষ্ঠ? স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল! চাপে বিজেপি!

কি কারনে প্রাণ হারালেন মুকুল ঘনিষ্ঠ? স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল! চাপে বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মুকুল রায় বিজেপিতে থাকার সময় তার সবসময়কার সঙ্গী হিসেবেই দেখা যেত সদ্য প্রয়াত বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকারকে। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার পর তার অন্যান্য অনুগামীদের মত রাজু সরকারের গতিবিধি নিয়েও নানা মহলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। আর এর মাঝেই বিজেপির রাজ্য দপ্তরে বৈঠক চলার সময় বচসা এবং হাতাহাতির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এর পেছনে কোনো চক্রান্ত আছে বলে মানা হয়নি। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বিজেপির প্রতি দীর্ঘদিন ধরেই বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন এই রাজু সরকার বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যাকে কেন্দ্র করে হেভিওয়েট বিজেপি নেতার মৃত্যুর পরেই রীতিমতো জলঘোলা হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার বিজেপি যুব মোর্চার কলকাতা জোনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চা সহ-সভাপতি রাজু সরকার। কিন্তু বৈঠকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বচসা হয়। আর তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সেই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। আর এই ঘটনার পরেই বিজেপির অন্দরমহলে তৈরি হয় প্রশ্ন। তাহলে কি দলের গোষ্ঠী কোন্দল এক নেতার প্রাণ কেড়ে নিল? যদিও বা এই কথা মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বৈঠকে কোনো গণ্ডগোল হয়নি। বৈঠক শেষে কয়েকজন উপস্থিত হয়েছিল। রাজু সরকার চলে গিয়েও ফিরে আসে। কি কথা হয়েছে, তা তো আমি জানি না। মৃত্যুর পর খবর পেয়েছি।” অন্যদিকে রাজু সরকারের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তবে এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। যার কারণে এখন বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতার মৃত্যুর ব্যাপারে বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “রাজু দলের প্রতি তিতিবিরক্ত ছিল। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। ওর মৃত্যু মানা যাচ্ছে না।” আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, এই কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে কি বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই চাপের মুখে পড়েছিলেন রাজু সরকার? আর সেই কারণেই তাকে শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারাতে হল? অনেকে বলছেন, কুণাল ঘোষের এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে আগামী দিনে রাজু সরকারের এই মৃত্যুকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি যে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে তৎপর হবে ঘাসফুল শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!