এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ১৫০ জনকে নিয়ে বাংলায় বড়সড় জঙ্গি ‘হাব’ তৈরির পরিকল্পনায় আলকায়দা? NIA-এর হাতে এল বড় তথ্য!

১৫০ জনকে নিয়ে বাংলায় বড়সড় জঙ্গি ‘হাব’ তৈরির পরিকল্পনায় আলকায়দা? NIA-এর হাতে এল বড় তথ্য!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে ছয়জন আল-কায়েদা জঙ্গী’ কে এনআইএ গ্রেপ্তার করেছে, আর কেরালার এর্নাকুলাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে তিনজনকে। কিন্তু এই মুহূর্তে মোট ১৫০ জন সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের তালিকায় আছে। যারা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ডোমকল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের জাল বিস্তারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।

একাধিক কারণে মুর্শিদাবাদের ডোমকল জঙ্গিদের ‘সেভ হাউস’ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, ডোমকল একেবারে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী, নদীর ওপারেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে কোন ক্রমে নদী পার করে এপারে আসতে পারলেই, ধরা পড়ার ভয় কমে যায়। এপারে এসে ভারতের সিম কার্ড ব্যবহার করতো তারা। যদিও মোবাইল ট্র্যাক করলে বাংলাদেশের লোকেশন দেখায়। আবার খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা এখানে এসে আশ্রয় নিতেও পারে। এমনসব চাঞ্চল্যকর তথ্যই হাতে পেয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা।

ডোমকল মহাকুমা কে একটি জঙ্গী হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নানা স্থানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির পর্যন্ত গড়ে তুলেছিল তারা। আবার, একাধিক কারণে কাশ্মীরে, দিল্লিতে গোয়েন্দাদের নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলকে জঙ্গীরা সেফ হাউস হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তবে শুধু ডোমকলই নয়। গোয়েন্দাদের অনুমান বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লালগোলা, সামশেরগঞ্জ মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরেও জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত জায়গা নজরে রাখছেন গোয়েন্দারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ধৃত জঙ্গি নেতা মুর্শিদ হাসান ডোমকলে আল-কায়েদার ভিত মজবুত করার কাজে লেগেছিল। কেরল থেকেই এই কাজ চালাত সে। তবে এ প্রসঙ্গে তার মার দাবি, ” ছেলে প্রতিদিনই বাড়িতে ফোন করত। ও মাসে ১০হাজার টাকা করে পাঠাত। ছেলে সবসময় কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকত। আমরা ছেলে জঙ্গি নয়।” এনআইএ আধিকারিকেরা মনে করছেন, মুর্শিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করায় যথেষ্ট অসুবিধায় পড়বে জঙ্গিরা। কারণ, নতুন সদস্য আনার ব্যাপারটি সেই দেখভাল করত। কিছুদিনের মধ্যেই কেরালা থেকে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। তবে, তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আবার বেশকিছু সন্দেহভাজন জলঙ্গীর একটি প্রতিষ্ঠাণে জিহাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পাঠা নিত। এই প্রতিষ্ঠানে মধুবোনা, ডোমকল থেকে ধৃত এক জঙ্গি সর্বদা যোগাযোগ করত। এই প্রতিষ্ঠানে পাঠ নেওয়া ৭,৮ জন পলাতক জঙ্গিকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অল্পের জন্য পালাতে সক্ষম হয়েছে এক জঙ্গি, যার সঙ্গে আলকায়দার যোগ ছিল। এই জঙ্গীকে এখনও খুঁজে বের করা যায়নি। তার পরিবারের লোকেরাও তার সন্ধান জানেনা, এমনটাই তাদের দাবি। এ প্রসঙ্গে তার মা বলেছেন, ” ওর এক বন্ধুকে এনআইএ ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে ও কোথায় চলে গিয়েছে, জানি না। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকদের সঙ্গে ও মেলামেশা করত। কিন্তু আমার ছেলে ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না।”

অন্যদিকে জলঙ্গীর বিশ্বাস পাড়ার এক সন্দেহভাজনও গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় আছে। নিজের উদ্যোগে একটি জিহাদী প্রশিক্ষণ শিবিরও গড়ে তুলেছিল সে। যেখানে জলঙ্গি, রানীনগর, ডোমকল থেকে বেশ কিছু যুবকের আনাগোনা ছিল। এই শিবিরে বয়স্কদের প্রবেশাধিকার ছিল না, বাইরের লোকও এখানে প্রবেশ করতে পারত না। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গী সংগঠনকে মজবুত করতে সম্প্রতি ধৃত জঙ্গি আল মামুন কামাল এখানে কিছুদিন আগে বৈঠক করেছিল। কিভাবে সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, কিভাবে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করবে, এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল সরাসরি এখানে। বহু অল্প বয়সী যুবককে মগজধোলাই করেছিল তারা। ভার্চুয়াল ও সরাসরি দুভাবেই ক্লাস চলতো তাদের। এরা সকলেই আছে গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকাতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!