এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমানবিক চিত্র কলকাতায়! ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে গেস্ট হাউসে জায়গা হল না ১০ মাদ্রাসা শিক্ষকের

অমানবিক চিত্র কলকাতায়! ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে গেস্ট হাউসে জায়গা হল না ১০ মাদ্রাসা শিক্ষকের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ ভারতবর্ষ। আর সেই ভারতবর্ষের অন্যতম রাজ্য বাংলা বারবার এই সর্বধর্ম সমন্বয়ে সীলমোহর দিয়ে এসেছে। যেখানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, ইহুদি, পারসিক, সবাই মিলেমিশে বসবাস করে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। কিন্তু সেই বাংলার রাজধানী কলকাতাতেই এবার দেখা গেল এক অমানবিক চিত্র।

জানা গেছে, কর্মসূত্রে বিকাশ ভবনে আসা 10 জন মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠল সল্টলেকের একটি গেষ্ট হাউসের বিরুদ্ধে। যেখানে বুকিং থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ধর্মের পরিচয়ের জন্য জোর করে সেই সমস্ত শিক্ষকদের বের করে দেওয়া হল গেস্টহাউস থেকে। আর এই গোটা ঘটনা কলকাতার মত শহরের বুকে ঘটে যাওয়া নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কেন মানুষ এখনও এত অমানবিক? শুধুমাত্র ধর্মের কারণে কেন এত বৈষম্য? জানা গেছে, সোমবার মালদা থেকে এই দশ মাদ্রাসা শিক্ষক কলকাতায় আসেন। বিকাশ ভবনে ডাইরেক্টর অফ মাদ্রাসা এডুকেশন বিভাগে তাদের কাজ ছিল। কিন্তু সল্টলেকের গেস্ট হাউসে থাকার জন্য তারা আবেদন করলেও, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তাদের সেখানে ঘর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘর না পেয়ে ব্যাপক বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বিকাশ ভবনে আসেন সেই 10 মাদ্রাসা শিক্ষক। তারপর মেট্রো ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় তাদের। আর এর পরেই শিক্ষক সংগঠনের সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গোটা ব্যাপারটি পৌঁছে যায়।

একাংশের প্রশ্ন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে কেন 10 শিক্ষককে এভাবে গেস্ট হাউস থেকে বের করে দেওয়া হল? যেখানে ভারতবর্ষ সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিচ্ছে, যেখানে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সকলের পরিচয় মানুষ। সেখানে কেন এখনও কলকাতার মত শহরের বুকে এই ধরনের ধর্মের বৈষম্য?এদিন এই গোটা ব্যাপারটি নিয়ে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এটা ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনী।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে যে সমস্ত শিক্ষকদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তাদের অভিযোগ, বুকিং থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় পরিচয়ের দোহাই দিয়ে এক প্রকার জোর করে গেস্ট হাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে সন্ধ্যার সময় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।

কিন্তু শুধুমাত্র গ্রেপ্তার বা আটক করে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সমাজের খুব গভীরে এই অসুখ বাসা বেধেছে। অবিলম্বে যদি তার ওষুধ তৈরি করা না যায়, তাহলে সমস্যা আরও জাকিয়ে বসবে। এখনও পর্যন্ত যদি এই ধর্মের কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হয়, তাহলে কোন বার্তা যাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে! তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।

তাই দশ মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটল, তা যাতে ভবিষ্যতে আর কারো সঙ্গে না ঘটে এবং সেদিকে যাতে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজ সচেতনতার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের নজর থাকে, তার জন্য আবেদন করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!