এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত! দুই প্রভাবশালী নেতা সহ বহু কর্মী গেলেন ঘাসফুল শিবিরে!

উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত! দুই প্রভাবশালী নেতা সহ বহু কর্মী গেলেন ঘাসফুল শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন পার্থপ্রতিম রায়। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই প্রতি সোমবার করে বিরোধীদের ঘর ভাঙতে দেখা যাচ্ছে তাকে। যার জেরে কোচবিহারের রাজনৈতিক মহল প্রতি সোমবার জেলা তৃণমূল ভবনের দিকে নজর রাখত।

তবে বিজেপি বিরোধিতায় যখন তৃণমূল কংগ্রেস মশগুল, তখন চলতি সপ্তাহের সোমবার আদৌ কোনো দল বদল হবে কিনা, তা নিয়ে যখন গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, ঠিক তখনই বিজেপির ঘর ভেঙে কোচবিহারে গেরুয়া শিবিরকে ফের বড়সড় ধাক্কা দিল তৃনমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে বিজেপির উৎপলকান্তি দেব এবং অনুপম দে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন বিজেপি তৃণমূলের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী, ঠিক তখনই কোচবিহার জেলায় দুই হেভিওয়েট বিজেপি নেতার এভাবে তৃণমূলে যোগদান গেরুয়া শিবিরকে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলে দিল।

জানা যায়, এই উৎপলকান্তি দেব বিজেপির আমন্ত্রিত স্থায়ী সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। এছাড়াও 2004 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। একসময় নাটাবাড়ি বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইও করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে অনুপম দে খাগড়াবাড়ি থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি বিজেপির বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তাই এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা ধরায় তৃণমূল যে অনেকটাই শক্তিশালী হল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিজেপির এই দুই নেতাকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বিজেপি নেতা উৎপলকান্তি দেব এবং অনুপম দে আমাদের দলে যোগ দিলেন। আমরা ধারাবাহিকভাবে এই যোগদান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”  যদিও বা তৃনমূলের এই যোগদান কর্মসূচিকে মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ওরা ডুবন্ত তরিতে পা দিলেন। হয়তো তৃণমূল কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকতে পারে। উৎপলবাবুর জন্য আমাদের দরজা খোলা রইল। কিন্তু অনুপমবাবু আমাদের দল থেকে অনেক আগেই বহিস্কৃত।”

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতি সোমবার করে কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি যেভাবে বিজেপির ঘর ভাঙতে শুরু করেছেন, তাতে গেরুয়া শিবির কোচবিহারে যে অনেকটাই বিপর্যস্ত, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন বিজেপির পক্ষ থেকে নিজেদের ঘরের ভাঙন রুখতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!