এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রিয়বন্ধুর খবরেই সীলমোহর শুভেন্দুর! লোকসভার টিকিট কনফর্ম করতেই চাটুকারিতা সুদীপের?

প্রিয়বন্ধুর খবরেই সীলমোহর শুভেন্দুর! লোকসভার টিকিট কনফর্ম করতেই চাটুকারিতা সুদীপের?


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লির রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির পর পুলিশের হুইসেলে তারা সকলেই কার্যত পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই দৃশ্য গোটা রাজ্যের মানুষ, গোটা দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। পুলিশকে কোনো নেতার উপর সেভাবে বল প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি বা মারতে দেখা যায়নি। কিন্তু তারপরেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পুলিশ নাকি ডান্ডা মারার চেষ্টা করেছে, এই রকম অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরেই প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার পক্ষ থেকে খবর করে বলা হয়েছিল যে, একটা অংশ বলছে যে, এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার লোকসভার টিকিট হয়তো পাবেন না। যে কারণে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিরো সাজিয়ে নিজের টিকিট কনফার্ম করার মরিয়া চেষ্টা করলেন। অথবা দলে তার গুরুত্ব দিনকে দিন কমছে। দলে নবীনদের ভার বৃদ্ধি হওয়ার কারণে নিজের পদ পাকা করতেই অভিষেকবাবুকে প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা করলেন সুদীপবাবু। আর এবার দিল্লি যাওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে আবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, প্রিয়বন্ধু মিডিয়া যে খবর করেছে, তাতেই সিলমোহর পড়লো।

প্রসঙ্গত, এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “উনি বর্ষিয়ান সাংসদ। ওনার সম্পর্কে আরও অনেক কথা বলতাম। কিন্তু বলতে চাই না। শুধু বলছি যে, উনি এবার উত্তর কলকাতা থেকে টিকিট পাবেন না। সেটা উনিও জানেন। একজন জেল খাটা আসামিকে ওখান থেকে টিকিট দেওয়া হবে। তাই নিজের টিকিট কনফার্ম করতেই উনি এই ধরনের কথা বলেছেন।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একেবারে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ওপর ঝামা ঘষে দিলেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দুবাবু বারবার বলেছেন যে, তৃণমূলে বর্ষিয়ান নেতাদের কোনো সম্মান নেই। এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়রা, অনেক বর্ষিয়ান সাংসদ। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলে তাদের সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হয়। তারপরেও তাদের লজ্জা নেই। তারা এভাবেই দলে টিকে থাকতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আরে এবার নিজের টিকিট কনফার্ম করার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির মাটিতে হিরো সাজিয়ে নিজে যাতে জিরো না হন, তারই চেষ্টা করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি বিরোধীদের।

বলা বাহুল্য, দিল্লির তৃণমূলের এই নাটক অবস্থান প্রমাণ করে দিয়েছে, পুলিশ থাকলেই তৃণমূল হিরো। আর পুলিশ না থাকলে তৃণমূল জিরো। দিল্লির পুলিশ শুধু একটা হুইসেল বাজিয়েছে। আর তার সাথে সাথেই সেই এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূলের বড় বড় নেতারা। বাংলাতেই তাদের শুধু বড় বড় ভাষণ! বাইরে তারা কিছুই নয়। পুলিশের সঙ্গে রাজনীতি করতে করতে তৃণমূল নিজেদের বিরাট কিছু ভেবে নিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পরে যে যুবরাজ দলের দায়িত্ব নিয়েছেন, তিনি কি করে বিরোধী আন্দোলন শিখবেন? তাই শেষ পর্যন্ত সেই পুলিশ হুইসেল বাজাতেই যখন সকলে পালিয়ে গিয়েছে, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিরো করতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন। কারণ তাকে তো দলে টিকে থাকতে হবে। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সন্তুষ্ট না রাখলে এ দলে টিকে থাকা যাবে না। আর এটা অত্যন্ত বাস্তব বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

তবে প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার খবরের পর শুভেন্দু অধিকারীর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এই বক্তব্য আমাদের উন্মাদনাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার শুদ্ধশীল ঘোষের নাম শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গলায়। অর্থাৎ শুভেন্দু বাবু যে লড়াই করছেন, তা স্যালুট জানানোর মত। কিন্তু সেই লড়াইয়ে বাংলার অন্যায়ের পর্দাফাঁস করতে পেরে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমরা চাই, বাংলার মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাক। তাই সেটিং করা বিরোধী দলনেতা নয়। বরঞ্চ চোখে চোখ রেখে শুভেন্দু অধিকারী যে লড়াই করছেন, তা সাধুবাদ জানানোর মতই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!