এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের আন্দোলন বিগ জিরো! দিল্লিতে ঝোড়ো ব্যাটিং শুভেন্দুর, বেকায়দায় অভিষেক!

তৃনমূলের আন্দোলন বিগ জিরো! দিল্লিতে ঝোড়ো ব্যাটিং শুভেন্দুর, বেকায়দায় অভিষেক!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সর্বভারতীয় দল থেকে তৃণমূল এখন আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। আর সেই আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা দিল্লি গিয়ে বাংলার জন্য নাকি টাকা দেওয়া হচ্ছে না, সেই দাবিতে আন্দোলনে বসেছেন। যদিও বা প্রথম দিন দিল্লী পুলিশের একটা হুইসেল শুনেই পালাতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। আর দ্বিতীয় দিন যখন যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়ার তৎপরতা তুঙ্গে, ঠিক তখনই তৃণমূলকে দিল্লির মাটি থেকেই কড়া ভাষায় জবাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে অলআউট আক্রমণ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতার মুখে ঝামা ঘষে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আন্দোলন করার নামে তৃণমূল দিল্লির মাটিতে অসভ্যতা করেছে, এই কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার দিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের এই আন্দোলন যে জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি, তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তৃণমূলের আন্দোলনকে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে হারিয়ে যাওয়া জনসমর্থন ফিরে পেতে এই সমস্ত নাটক করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আঞ্চলিক দল তৃণমূল দেশের রাজনীতিতে মিথ্যা দাবি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। তবে এদের এই আন্দোলনের কোনো প্রভাব রাজ্যে বা দিল্লিতে পড়েনি।” অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী  ঠিক কথাই বলেছেন। এই তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু হিসেব চেয়েছে। আর তা দিতে পারেনি অপদার্থ তৃণমূল সরকার। যার কারণে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে রেখেছে। আর তাতেই গাঁয়ে ছ্যাকা লেগেছে তৃণমূলের। দুর্নীতি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখন পরিমড়ি করে দিল্লিতে আন্দোলন করে তারা দেখাতে চাইছে যে, তারা মানুষের জন্য কতই না আন্দোলন করে!

বিরোধীদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সর্বভারতীয় নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলাতেই তাদের জারিজুরি শেষ হয়ে যাবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে ব্যাপক দুর্নীতির খবর সামনে উঠে আসছে এবং একের পর এক তৃণমূল নেতা জেলে যেতে শুরু করেছেন, তাতে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারেননি বলেই তৃণমূলের রমরমা বাজার দেখা গিয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন সেভাবে হবে না। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বলা হয়ে থাকবে। আর মানুষ তখন ভোট দিয়ে তৃণমূলকে কার্যত পশ্চিমবঙ্গ থেকে শূন্য করে দেবে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থা যে অত্যন্ত করুন, তা বুঝতে পেরেই এখন দিল্লিতে এসে হম্বিতম্বি করে মিথ্যে নাটক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শুরু করেছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।‌

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলাতে তৃণমূল যা ইচ্ছে তাই এখন আর করতে পারে না। কারণ, সেই পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিমুহূর্তে তিনি তৃণমূল সরকারকে টাইট দিয়ে দিচ্ছেন। তবে এই তৃণমূলের গুটি কয়েক নেতা দিল্লি এসে ভেবেছিল, সেখানে তারা যা ইচ্ছে, তাই বলবেন। আর সেটা মিডিয়া খেয়ে নেবে। কিন্তু তৃণমূল সেখানে আন্দোলন করার মাঝেই রাজধানীতে পৌঁছে গিয়ে এবার সেই তৃণমূলের মুখোশটা টেনে খুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার তৃণমূলকে অ্যাটাক করে এই ঝোড়ো ব্যাটিং কাবু করে দিল ঘাসফুল শিবিরকে। মুখে তিনি কোনোকালেই স্বীকার করবেন না, তবে শুভেন্দুবাবুর আক্রমণ বেকায়দায় ফেলে দিল বাংলার যুবরাজকেও। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!