মমতাকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের পরদিনই বিরোধী জোটের নেতৃত্ব নিয়ে বড়সড় দাবি তেজস্বী যাদবের জাতীয় রাজ্য January 20, 2019 ২০১৯ এ বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটাতে বিরোধী জোটের প্রস্তুতি নিয়ে ব্রিগেডের ডাক দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মতো গতকাল বাংলায় ব্রিগেড চত্বরে বিশাল সমাবেশ হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বড় বড় মোদী বিরোধী নেতারা। সেখানে ছিলেন তেজস্বী যাদবও। ব্রিগেড সমাবেশের পরদিনই দাবি করলেন যে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিতে পারে কংগ্রেসই। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এমন মন্তব্যে কিছুটা হলেও ধাক্কা লেগেছে মমতা শিবিরের। কেননা শনিবারই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলো ২২ টি বিরোধী দল। সব নেতাদের মুখেই শোনা গিয়েছিলো মমতার স্তুতি। সেখানে নেতৃত্ব কে দেবেন তা ঠিক না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই ইঙ্গিতটা বেশি ছিল একথা বলাই বাহুল্য। যদিও বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী কে হবেন বা বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন, সেটা পরে ভাবা যাবে। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আজ বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মত বদলে ফেললেন। এদিন তিনি দাবি করলেন যে, সারা দেশে সাংগঠনিক শক্তির বিচারে কংগ্রেসই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার পূর্ব অভিজ্ঞতাও কংগ্রেসের রয়েছে। তাই বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কংগ্রেসই সেরা বিকল্প। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে তৃণমূল। দিল্লিতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই এই দাবি অনির্বার তুলে ধারা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। শুধু তাই নয় এদিনের ব্রিগেড সমাবেশের পরেও তৃণমূলের দাবি যে মুখে না বললেও সব নেতারাই মমতা বান্দ্যোপাধ্যকেই বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে মেনে নিচ্ছেন। আর তার মধ্যেই ব্রিগেডে উপস্থিত থাকা তেজস্বী যাদবের এহেন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বড় ধাক্কা তৃণমূলের কাছে এমনটাই দাবি রাজনৈতিকমহলের। অন্যদিকে, এদিনের ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত থাকা ডিএমকে নেতা এম কে স্টালিন ঘোষণা করেছেন, ২০১৯-এ বিরোধী জোটের নেতা হবেন রাহুল গান্ধী। এইদিন কংগ্রেসের কথা বলেও তিনি জানান যে, নেতৃত্ব’ দিতে হলে কংগ্রেসকে আরও উদার হতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’ আপনার মতামত জানান -