এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ‘প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ব্রিগেডের সভা নিয়ে বিস্ফোরক অধীর রঞ্জন চৌধুরী

‘প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ব্রিগেডের সভা নিয়ে বিস্ফোরক অধীর রঞ্জন চৌধুরী


গতকালকেই তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে। যেখানে দেশের বিজেপি বিরোধী তাবড় তাবড় নেতা রা হাজির ছিলেন. ব্রিগেডের সভা থেকে একের বিরুদ্ধে এক লড়ার ডাক ও দিলেন। সেখানে কংগ্রেসের তরফ থেকে মল্লিকার্জুন খাগরে উপস্থিত থাকলেও প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে কাউকে দেখা গেলো না। আর তার একদিন কাটতে না কাটতেই এদিন দেখা গেলো অধীর চৌধুরী তৃণমূলের ঘর ভাঙলেন।

এদিন জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে একটি বা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেউপস্থিত ছিলেন অধীরবাবু। আর সেখানেই তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। তৃণমূল নেতারা বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন একাধিকবার। এবার দিল্লিতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, রাজ্যজুড়ে এই জিগির তোলার চেষ্টাও হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য এবং দেশের তাবড় বিরোধী নেতাদের এক ছাতার তলায় আনার কাজটি সফলভাবে করার পর মমতার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও দাবি ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। আর এদিন ব্রিগেড নিয়ে তিনি কটাক্ষ করে জানালেন, যে, ‘কাল ব্রিগেড হয়ে গেল আর প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দিদি গেলেন দেশ চালাতে, বুয়া গেলেন দেশ চালাতে আর বাবুয়া গেলেন প্রদেশ চালাতে। আমরা এই বুয়া বাবুয়ার এই দুস্বপ্ন আমরা কখনও সফল হতে দেবো না। তৃণমূলের ব্রিগেডের নামে ৪ দিন ধরে কলকাতায় পিকনিক হয়েছে।’

এবারের ব্রিগেডের সভা যে একেবারে ফ্লপ এমনটাই দাবি করেন তিনি। তিনি এদিন বলেন যে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও ব্রিগেড সমাবেশ করেছিলেন তখন গরিব মানুষ উপচে পড়েছিল, আর সেদিন সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা মাটি মানুষের নেত্রী ছিলেন। কিন্তু আজ তিনি লুঠরাজের নেত্রী। তাই আজ তাকে ব্রিগেডে লোক ভরাতে বাড়িতে বাড়িতে টাকা, মদ দিয়ে বাস ভাড়া করতে হয়।’

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এদিন বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে একটি সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রানীনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগম সহ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মী সদস্যরা।সেখানেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করল বেলডাঙ্গা এস আর এফ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহু সদস্য এবং রানীনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, মালিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সহ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক। যা নিয়ে চিন্তা বাড়লো তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর।এদিন কংগ্রেসে যোগদান প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন ‘রিভার সুইং শুরু হয়ে গিয়েছে। তা ব্রিগেড করে বা প্রশাসন দিয়ে থামানো যাবে না। এই যোগদান এই জেলায় চলতে থাকবে। এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলে কেউ থাকবে না, শুধু কয়েকটা চোর এবং লুটেরা ছাড়া আর জেলার সাধারণ মানুষ থাকবে না।

পাশাপাশি এও দাবি করেন যে, তৃণমূলের প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ শুরু হয়েছে এটি পদ্মার ভাঙনের মতো রূপ নেবে। সারা রাজ্যে কি হবে জানি না তবে এই জেলায় তৃণমূল তছনছ হয়ে যাবে। এই জেলার ক্ষত মুখ্যমন্ত্রীকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। এই জেলায় কংগ্রেস একটিও আসনও শাসক দলকে পেতে দেবে না’।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!