এবার তৃণমূলের তৃণমূল স্তরের নেতারা পেতে চলেছেন বড়সড় দায়িত্ব? হতে চলেছে ব্যাপক রদবদল? কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর দিয়ে এবার ঘর গোছাতে শুরু করেছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার। সাংগঠনিক জোর বাড়াতে ইতিমধ্যে শাসক শিবিরে হয়ে গেছে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল। কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলাতেও এই রদবদল হয়েছে। আর এবার পালা বুথ কমিটির। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এবার সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বুথ কমিটি তৈরি হবে। এই কমিটিতে সর্বনিম্ন তিন জন থেকে সর্বাধিক 15 জন পর্যন্ত থাকবেন বলে জানা গেছে। তাছাড়াও ওয়ার্ড কমিটিগুলোও এবার নতুন করে তৈরি হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে এবার জেলা সভাপতিদেরও একটি নতুন কমিটি তৈরি হবে বলে জানা গেছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, যাদবপুর ও বেহলা পূর্ব, এই দুটি আসনে তৃণমূল সংগঠন আরো শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে। তবে এর সাথেই গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতা সমস্ত আসনেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে চাইছে দল। অন্যদিকে বেহালা পূর্বে আগে দাঁড়াতেন শোভন চ্যাটার্জি। কিন্তু বর্তমানে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই এবার ওই কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী হবে তৃণমূলের। সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে যাদবপুরে গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূলের মনীশ গুপ্ত। বর্তমানে তিনি অবশ্য দক্ষিণ কলকাতার চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল নেতারা দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর অফিসে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখার্জি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, জাভেদ খান, আব্দুল খালেক মোল্লা, দেবাসিশ কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, ও বেহালার কোঅর্ডিনেটর রত্না সুর। জানা গেছে, বিশেষ কাজের কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম এই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। এই বৈঠকে অবধারিতভাবে উঠে এসেছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গটি। এ প্রসঙ্গে জাভেদ খান অভিযোগ করেন, কসবা বিধানসভায় দুজন কো-অর্ডিনেটর তাঁর সাথে সহযোগিতা করছেন না। অন্যদিকে সুব্রত মুখার্জী পরামর্শ দিয়েছেন, আগামী দিনের কর্মসূচি রূপায়ণ করতে গেলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকা অত্যন্ত জরুরী। তবে এ দিনের বৈঠকে প্রায় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে মতবিরোধ সরিয়ে রেখে দলকে এক হয়ে লড়াইতে নামতে হবে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর উপনির্বাচনগুলিতে তৃণমূল অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করে। তাই এই মুহূর্তে তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত জানা গেছে, অরূপ বিশ্বাসের দায়িত্বে এসেছে যাদবপুর ও টালিগঞ্জের সংগঠন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের নাগাল পেতে গেলে অবশ্যই তৃণমূলকে তাঁদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। তবে সর্বোপরি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার দিকে এখনই নজর না দিলে আগামী দিনে শাসক দলকে কিন্তু বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়াতে হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এই অবস্থায় তৃণমূল বিজেপিকে মাত দেওয়ার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যে এবার সেয়ানে সেয়ানে হতে চলেছে, সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন সবাই। আপনার মতামত জানান -