এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগামীকাল বৃহত্তম প্রতিবাদ আন্দোলনে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে চলেছেন শিক্ষাবন্ধুরা

আগামীকাল বৃহত্তম প্রতিবাদ আন্দোলনে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে চলেছেন শিক্ষাবন্ধুরা


নিজেদের বেতন বঞ্চনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছেন রাজ্যের শিক্ষাবন্ধুরা। আর এবার এই বেতন বঞ্চনার অবসান ঘটাতে পথের আন্দোলনকেই হাতিয়ার করে নিতে চলেছেন তাঁরা। শিক্ষাবন্ধুদের সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক নন্দদুলাল দাস জানিয়েছেন, আগামীকাল রাজ্য সরকারের সীমাহীন বঞ্চনা ও বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদে পথে নামতে চলেছেন রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষাবন্ধুগণ।

নন্দদুলালবাবু আরও জানান, দুপুর ১ টায় করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে বিকাশ ভবন ঘেরাও করবেন তাঁরা। আর এই মিছিল যেখানেই বাধা পাবে সেখানেই বসে পড়বে। রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা বন্ধুদের নিয়ে আমরা ‘পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবন্ধু যৌথ মঞ্চ’ নামে একটি জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি। যে সংগঠনের মিলিত সিদ্ধান্তের ফলেই আগামীকালের এই আন্দোলন।

নন্দদুলালবাবুর স্পষ্ট অভিযোগ, সর্বশিক্ষা মিশনের সমস্ত কর্মচারীদের বেতনকাঠামো শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে নির্ধারিত হয়েছে। বঞ্চিত একমাত্র শিক্ষাবন্ধু সমাজ। তাঁদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে পদদলিত করা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে কোনো আবেগ নয়, রীতিমত পরিসংখ্যান তুলে ধরে কথা বলছেন রাজ্যের শিক্ষাবন্ধুরা। তাঁদের এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, কিভাবে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষাবন্ধুরা।

নন্দদুলালবাবুদের বক্তব্য, সর্বশিক্ষা মিশনের একজন “গ্রূপ-ডি” কর্মী, যিনি অষ্টম শ্রেণী পাশ, বেতন পান ১৫,০০০ টাকা, একজন “গ্রূপ-সি” কর্মী, যিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ, বেতন পান ১৯,০০০ টাকা। আবার মিশনের একজন গ্র্যাজুয়েট কর্মী বেতন পান ২৫,০০০ টাকা এবং একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্মী বেতন পান ৩০,০০০ টাকা। অথচ উচ্চশিক্ষিত একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাবন্ধু কর্মী হাতে পান মাত্র ৭,৩৩৬ টাকা!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিক্ষাবন্ধুদের ক্ষোভ আরও প্রকট, কেননা অন্যান্য রাজ্যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাবন্ধুদের বেতন ষাট হাজার টাকার ঊর্ধে। তাঁদের মতে, বঞ্চনার এখানেই শেষ নয় – সর্বশিক্ষা মিশনের অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ, যাঁরা কম টাকা বেতন পেতেন, তাঁদের বেতন বাড়িয়ে (যদিও তা নগণ্য) রাজ্য সরকার তাঁদের বেতনকাঠামো ঠিক করে সুরাহার চেষ্টা করলেও, ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষাবন্ধুদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছেন।

এছাড়াও নন্দদুলালবাবু জানিয়েছেন, সর্বশিক্ষা মিশনের সমস্ত কর্মচারীবৃন্দ বর্ধিত বেতন ১ বছরের এরিয়ার হিসাবে পেয়েছেন। অর্থাৎ, অন্যান্যদের ক্ষেত্রে বর্ধিত বেতন ১ বছর আগে থেকে লাগু হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাবন্ধুদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। আমাদের এরিয়ার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রাথমিক বা উচ্চ প্রাথমিক পার্শ্বশিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আলাদা হওয়ায়, তাঁদের বেতন কাঠামোও আলাদা। কিন্তু, শিক্ষাবন্ধুদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক হোক বা উচ্চ প্রাথমিক, শিক্ষাগত যোগ্যতা আলাদা হলেও বেতন কাঠামো একই।

রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়ে নন্দদুলালবাবু জানান, অর্থাৎ শিক্ষাবন্ধুদের ক্ষেত্রে একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও একজন গ্র্যাজুয়েট কর্মীকে একই বেতন দেওয়া হচ্ছে। ভারতবর্ষের কথা বাদ দিন, পৃথিবীর কোথাও এমন হয় না! নন্দদুলালবাবুর মতে, এই ব্যবস্থাকে একমাত্র ‘তুঘলকি ব্যবস্থার’ সঙ্গে তুলনা করা চলে! তাই এবার গান্ধীজীকেই নিজেদের আদর্শ করে “করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে” আন্দোলনে শামিল হতে চলেছেন তাঁরা বলে দাবি করেন নন্দদুলালবাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!