এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জনসংযোগ নিয়ে ফের নয়া ফরমান, জেনে নিন কি নতুন নির্দেশ ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোরের

জনসংযোগ নিয়ে ফের নয়া ফরমান, জেনে নিন কি নতুন নির্দেশ ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোরের


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল গত 2014 সালে 34 টা আসন পেলেও এবার তা থেকে কমে দাড়িয়েছে 22 টিতে। অপরদিকে বিজেপি 18 টা আসন পেয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের খারাপ ফলাফলের কারণ হিসেবে জনসংযোগের যে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে, তা আঁচ করতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে নিজের দলের ভাবমূর্তি এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর সেইমত কিছুদিন আগেই সেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে “দিদিকে বলো” নামে একটি কর্মসূচি করে জনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা তৃণমূল পরিবার।

ইতিমধ্যেই দলীয় পদাধিকারী থেকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে তাদের ঠিক কি অসুবিধা রয়েছে, তা জিজ্ঞাসা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দিদিকে বলো” প্রকল্পের ফোন নম্বর এবং তার কার্ড বিলি করছেন। তবে শুধু সাধারণ মানুষের দুয়ারে যাওয়াই নয়, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে এবার সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের দরজাতেও কড়া নাড়তে হচ্ছে শাসক দলকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে জনসংযোগ কর্মসূচিতে প্রতিটি বিধানসভা কিছু বিশিষ্টদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে দলীয় বিধায়ককে বিশিষ্টদের পরামর্শ নিয়ে এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যেখানে দলের বিধায়ক নেই, সেখানে অন্য কোনো জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এই বিশিষ্টদের তালিকায় বিরোধী দলের সমর্থক, সক্রিয় কর্মী বা স্থানীয় স্তরের নেতারা রয়েছেন। আর এইরকমই গ্রামীণ হাওড়ার এক তৃনমূল বিধায়ককে সিপিএমের সেই বিশিষ্ট জনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হল। জানা গেছে, জনসংযোগের ব্যতিক্রমী পথে পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল বিধায়ক চরমভাবে ধাক্কা খেয়েছেন।

সেই তৃণমূল বিধায়ককে তার এলাকায় সক্রিয় 4 সিপিএম কর্মীর সঙ্গে দেখা করে জনসংযোগ কর্মসূচিতে মিলিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ফোন করেও পাননি তৃণমূল বিধায়ক। একই রকমভাবে বিপাকে পড়েছেন নদীয়ার দুই তৃণমূল বিধায়কও।

আর জনসংযোগ প্রকল্পে এইভাবে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিশিষ্টজনের আসনে বসিয়ে তৃণমূলের বিধায়কদের তারা তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ প্রশান্ত কিশোরের টিমে পক্ষ থেকে দেওয়া হলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন শাসকদলের নেতৃত্বরা। কিভাবে তারা সেই বিরোধী দলের সদস্যদের ঠিকমত পাবেন, তা ভেবেই পাচ্ছেন‌ না তৃণমূলের নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!