এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > মাওবাদীদের রুখতে নতুন পদপক্ষে নিচ্ছে মমতা সরকার, জেনে নিন

মাওবাদীদের রুখতে নতুন পদপক্ষে নিচ্ছে মমতা সরকার, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার জঙ্গলমহলে মাওবাদী আনাগোনার কথা শোনা যাচ্ছে। একসময়ের জঙ্গলমহল মাওবাদীদের আখড়া বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু সময় বয়ে গেছে আপন গতিতে। এবং তার সাথে তাল রেখে জঙ্গলমহল থেকে মাওবাদীরাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কার্যকলাপ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে মাওবাদীদের হটাতে। কিন্তু এবার বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আসায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরে যেতে পারে।

তাহলে মাওবাদী দমনের কি হবে? সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবার মাওবাদী দমনের জন্য নিজস্ব বিশেষ বাহিনী তৈরি করছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পেশালি ট্রেন্ড আর্মড (স্ট্র) ব্যাটেলিয়ন’ বা ‘স্ট্র’। সূত্রের খবর, রাজ্যের নবনিযুক্ত কনস্টেবলদের মধ্যে থেকে 200 জনকে বেছে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে খড়্গপুরের সালুয়ায় ইএফআরের কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ইউনিটে এই প্রশিক্ষণ চলছে। যেখানে 200 জন জওয়ান প্রশিক্ষণ নিতে পারে বলে জানা গেছে।

তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দুশো জনের প্রশিক্ষণ দু’দফায় নেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা ডিউটি পাবেন জঙ্গলমহলে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এতদিন পর্যন্ত সিআরপিএফের কোবরা বাহিনীর মতো কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স বা সিআইএফ এর বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। এই মুহূর্তে জঙ্গলমহলের রয়েছে 21 কোম্পানি সিআরপি। এছাড়াও রাজ্যের তরফ থেকে ‘স্ট্র্যাকো’ নামের একটি বাহিনী রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাওবাদী দমনে সবথেকে পটু বলে পরিচিত হন নাগা বাহিনী। তাঁরাও বাংলা ছেড়ে ফিরে গিয়েছে নাগাল্যান্ডে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীও একে একে ফিরে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই এবার রাজ্য সরকারের নিজস্ব বাহিনী গঠন হচ্ছে। অন্যদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে। অবশ্য এ প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, এই খবরগুলি অনেকটাই কল্পনাপ্রসূত।

কারণ মাওবাদীরা সরাসরি জঙ্গলমহলে ঢুকলে তাঁরা অস্তিত্ব জানান দেবে। হয় ল্যান্ডমাইন ফাটিয়ে না হলে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কোন ছোট মাপের নেতাকে হত্যা করে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে সে রকম কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলা যায়। গত 9 বছর ধরে জঙ্গলমহলের কোন রকম অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝাড়খন্ডে মাওবাদী আনাগোনা বেড়েছে এবং সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের যে কোন মুহূর্তেই মাওবাদীরা চলে আসতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মূলত সাধরণকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেছে মাওবাদীরা। কিন্তু জঙ্গলমহলে এখন মানুষ অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছে। সেখানে উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে হানা দিতে পারে, এরকম আশংকা হচ্ছে কেন?

প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, উন্নয়ন হলেও মানুষের চাহিদা কিন্তু দিন দিন বাড়ছে। সব চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছেনা। আর সেই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে আবারো মাওবাদীদের আনাগোনা শুরু হতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি যাতে কোনরকম অশান্ত না হয় তার জন্যই প্রশাসনের এরূপ পদক্ষেপ। তবে বিরোধীদের দাবি, রাজ্য সরকার জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সাহায্যেই নির্বাচন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মাওবাদীরা যে রাজ্য সরকারের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ সে কথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!