এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল শিবিরে অশান্তির জেরে এক নেতা অন্য নেতার অপর হামলার অভিযোগ, তীব্র অস্বস্তি শাসকদলে

তৃণমূল শিবিরে অশান্তির জেরে এক নেতা অন্য নেতার অপর হামলার অভিযোগ, তীব্র অস্বস্তি শাসকদলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারও গোষ্ঠী কোন্দলের দেখা মিলল তৃণমূল শিবিরে। এবার এমন পর্যায়ে পৌঁছাল এই গোষ্ঠী কোন্দল, যেখান থেকে এক নেতা আরেক নেতার ওপর ছুরি নিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হলেন। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলায়। আর এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি তৃণমূল শিবিরেও ব্যাপক গুঞ্জন চলছে এই নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে।

 নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মারধর এবং খুনের চেষ্টা চালায় আইএনটিটএইইউসি নেতা তপন কুন্ডু। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর। কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায় এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন পার্টি অফিসে।

এরপর তিনি থানায় অভিযোগ করেন এবং আইএনটিটিএইউসি নেতা তপন কুন্ডুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তবে এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে একান্তই নারাজ প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর নদীয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া এলাকায় তৃণমূল পাটি অফিসে আচমকাই আইএনটিটিএইউসি নেতা তপন কুন্ডু এবং তাঁর দলবল ঢুকে পড়ে। তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মলয় কুন্ডু সেসময় পার্টি অফিসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের কাজকর্ম সেরে তিনি সবেমাত্র অফিসে এসেছছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সাথে সাথেই হকার্স ইউনিয়নের নেতা তপন কুন্ডু তাঁর দলবল নিয়ে পার্টি অফিসের ভেতর ঢুকে ব্যাপক হামলা চালায়, প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাঁকে। এরপর ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা চালায় তপন কুন্ডু। সেইসময় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য কর্মীরা এগিয়ে আসলে তাঁদের মধ্যে এক তৃণমূল কর্মীর হাতে ছুরিকাঘাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায় ছুটে যান।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁর মন্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী কে তা তিনি জানেন না। তবে কৌশানী প্রশ্ন তুলেছেন, তপন কুন্ডু যদি তৃণমূলের লোক হন তাহলে কিভাবে নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে দলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টা চালাবে? নির্বাচনী কার্যালয়ের ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে অফিস ভাঙচুর করবে? কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তপন কুন্ডুকে পুলিশ  গ্রেপ্তার করে। 

রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা চলছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখান থেকেও এই ঝামেলার সূত্রপাত হতে পারে। একই কথা বলেছে গেরুয়া শিবির। তাঁরাও জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে শাসকদলের অন্দরে এইধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেক্ষেত্রে বিরোধীরা সেই সুযোগ নেবে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!