এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লিতে কতই মাতব্বরি! এবার অন্তত চালাকি বন্ধ করুন ভাইপো! মমতার কৌশল ধরে ফেললো বিজেপি!

দিল্লিতে কতই মাতব্বরি! এবার অন্তত চালাকি বন্ধ করুন ভাইপো! মমতার কৌশল ধরে ফেললো বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় একশো দিন এবং আবাস যোজনার কাজে নাকি কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না! তাই সেই টাকার দাবিতে দিল্লিতে বিক্ষোভ ধর্না শুরু করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী এবং জন প্রতিনিধিরা। কর্মীদেরকেও সেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানেই বিজেপির যুক্তি, কেন্দ্র টাকা দিয়ে হিসাব চেয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি হয়েছে জন্য সেই হিসাব দিতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার কারণে টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দিল্লিতে ভাইপো আন্দোলন করে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালাকি ধরে ফেললো গেরুয়া শিবির। যার ফলে রাজধানীতে তৃণমূলের মাতব্বরি কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই মত একাংশের।

প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে এজন্য রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছিল, দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। উল্টে অভিযুক্ত সাংসদের নেতৃত্বেই তারা দিল্লি অভিযান করছে।” অনেকে বলছেন, অনুরাগ ঠাকুর এই অভিযুক্ত সাংসদ বলতে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই ইঙ্গিত করলেন। কারণ দিল্লির আন্দোলন যার নেতৃত্বে হচ্ছে, তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গ বিজেপি বারবার নাম না করে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। তাই সেই অভিষেকবাবু দিল্লিতে গিয়ে বড় বড় কথা বলার সময় তার জারি জুরি ফাঁস করে দিলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নিজেকে সর্বভারতীয় নেতা বানাতে সবরকম চেষ্টা করছেন ভাইপো। তাই দিল্লির মাটিতে তার কত বড় বড় কথা। কত মাতব্বরি। কিন্তু সব জারিজুরি শেষ হয়ে গিয়েছে, যখন দিল্লী পুলিশ একটা হুইসেল বাজিয়েছে। কার্যত এলাকার ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূলের এই বড় বড় নেতারা। আর এবার অনুরাগ ঠাকুর একেবারে সেই তৃণমূল দলের সর্বময় কর্ত্রীকেই চাপের মুখে ফেলে দিলেন। যদি হিম্মত থাকে, তাহলে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করুক রাজ্যের শাসক দল। তবে তা করার মতো ক্ষমতা নেই তৃণমূল সরকারের। যদি তাই হত, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত এই দিল্লির মাটিতে আন্দোলনে উপস্থিত থাকতেন বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন বঙ্গ বিজেপির নেতারা নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। নানা দুর্নীতির কথা বলে তাকে অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতার মুখেও সেই যুবরাজের প্রসঙ্গ শোনা গেল। যার ফলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেকে হিরো বানাতে গিয়ে কার্যত জিরো হয়ে গেলেন তৃণমূলের এই সাধের ভাইপো। পাশাপাশি অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তার ভাঁজ যে আরও প্রকট হলো, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!