এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “দুর্দিনে দলকে পাশে পাইনি” বড়সড় অভিযোগ করে দল ছাড়ছে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী থেকে নেতারা, বাড়ছে চিন্তা!

“দুর্দিনে দলকে পাশে পাইনি” বড়সড় অভিযোগ করে দল ছাড়ছে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী থেকে নেতারা, বাড়ছে চিন্তা!


লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পরিবর্তন করে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন। আর এই সমস্ত শ্রমিকদের পাশে কোন রাজনৈতিক দল সব থেকে বেশি দাঁড়াচ্ছে, তা দেখে নিচ্ছেন সেই সমস্ত দুর্দিনে পড়া শ্রমিকরা। এমতাবস্তায় এবার লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে সিপিএমের মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল তৃনমূলের সক্রিয় কর্মীদের। যার ফলে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে খেজুরি এলাকায়। কেন হঠাৎ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত এই সমস্ত শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে সিপিএমের মিছিলে হাঁটলেন?

জানা গেছে, এই সমস্ত শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে চেয়ে বারবার এলাকার নেতাদের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু তারা কোনোভাবেই তাদের সাহায্য করেননি। তবে সম্প্রতি সিপিএমের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি ফেরার জন্য সাহায্য করা হয়েছে। আর সেই বামেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই এলাকায় এসে তাদের মিছিলে হাঁটলেন এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক শ্রমিক বলেন, “ট্রেন চলছে ভেবে কেরল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ভেলোরে এক সপ্তাহের জন্য আটকে গিয়েছিলাম। ঘরের কাছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা, বিধায়কদের ফোন করেছি। কিন্তু কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি। পরে এলাকার এক সিপিএম নেতার মাধ্যমে কথাবার্তা হয়। তারা হোটেলে থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পরে সিপিএম নেতাদের সুপারিশে গত 12 মে বাড়ি ফিরেছি।” কিন্তু এর জন্য তারা তৃণমূলের উপর রাগ করছেন কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক শ্রমিক বলেন, “দুর্দিনে দলকে পাশে পাইনি। এলাকায় ওরা উন্নয়নের নামে স্বজনপোষণ করছে। ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করছেন। তাই বাধ্য হয়ে যারা পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই সিপিএমে আমরা যোগ দিয়েছি।” এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করে তাদের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ায় সেই সমস্ত শ্রমিকরা যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের মিছিলে হাঁটলেন, তাতে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত সিপিএম নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, “শাসকদল স্বার্থসিদ্ধির জন্য বেশকিছু ছেলেদের ব্যবহার করেছিল। এখন তারা সত্য উপলব্ধি করতে পেরে আমাদের দলে নাম লিখিয়েছেন। যদিও বা এই গোটা ঘটনায় গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রনজিৎ মন্ডল বলেন, “আমাদের দলে থাকার সুবাদে ওদের সবকিছুই পাওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই অন্য দলের ব্যানারে গিয়ে এবার যাতে আরও কিছু পেতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন্ খেজুরি বিধানসভা এলাকায় 6000 পরিযায়ী শ্রমিককে আমরাই দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি ফিরিয়েছি।” তবে তৃণমূল বিধায়ক যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে দুর্দিনে দলকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সৈনিকরা বাড়ি ফেরার সাথে সাথে সিপিএমে যোগ দিলেন, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। অবশ্য এই চিত্র শুধু এখনই নয়,প্রায় গোটা বাংলা জুড়েই দেখা যাচ্ছে। দলকে পাশে না পেয়ে দল ছাড়ছেন অনেক সক্রিয় নেতাকর্মীরাও।

অনেকে বিজেপি, সিপিআইএম ,কংগ্রেসে যাচ্ছেন।অভিযোগ একটাই দরকারে নেতাদের থেকে কোনোপ্রকার সাহায্য পাইনি। আর এই নিয়েই রাজনৈতিকমহলের দাবি যদি এমন চলতে থাকে তবে আগামীদিনে তৃণমূলকে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। কেননা সক্রিয় কর্মীরা যদি অন্য দলে যায় তবে সেই দল সুযোগ নেবে তাদের কাজে লাগবে তৃণমূলকে কোনঠাসা করতে আর অন্য দলে কাজ করতে পারছে দেখে তৃণমূল আরো ভাঙবে। ফলে এই নিয়ে যদি হাল না ধরা যায় এখুনি তবে ফল ভুগতে হবে শাসকদলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!