এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের আন্দোলনে বিপদ বাড়লো মমতার! বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে নবান্ন!

অভিষেকের আন্দোলনে বিপদ বাড়লো মমতার! বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে নবান্ন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের বাংলার মন্ত্রী, সাংসদ এবং জনপ্রতিনিধিরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। তাদের একটাই দাবি, বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনাতে। তাই সেই টাকা কেন্দ্রকে ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, বাংলার সরকার দুর্নীতি করেছে। তাই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ যে কথা বললেন, তাতে তৃণমূলের আন্দোলন কোথায় পৌঁছাবে, তা অনেক পরের কথা। কিন্তু নিজের দলের এই আন্দোলনে যে ভবিষ্যতে বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে এই দুর্নীতি যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তা নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, গরিবের টাকা লুট করা বন্ধ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আর সবথেকে যে বিষয়টি মারাত্মক, তা হলো, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আগামী দিনে এই দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য সিবিআই তদন্তের কথাও উল্লেখ করেছেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই হুশিয়ারিই বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কারণ একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সিবিআই এবং ইডিতে এই তৃণমূল সরকার কার্যত জর্জরিত।

একাধিক বিষয়ে তারা তদন্ত করার কারণে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা এখন জেলে রয়েছেন। তাই এই দুর্নীতি নিয়েও যদি কেন্দ্রীয় সরকার এবার সিবিআইয়ের ওপর তদন্তভার তুলে দেয়, তাহলে আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলো তৃণমূল কংগ্রেস।বিরোধীদের মতে, রাজ্যে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের টাকা লুট করা হয়েছে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপি এই অভিযোগ করত। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই দুর্নীতি বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই আন্দোলন করে যদি তৃণমূল ভাবে যে, তারা টাকা ফেরত পাবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। বরঞ্চ এই বাড়াবাড়ি এবার তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।তারা তো সততার প্রতীক বলে নিজেদের দাবি করে। তাহলে সেই সততার প্রমাণ দিতে দোষ কোথায়? কেন্দ্রীয় সরকার যদি সিবিআইয়ের ওপর তদন্ত তুলেও দেয়, তাহলে তা নিয়ে তো তৃণমূলের আপত্তি থাকার কথা নয়। যারা দোষ করেনি বলে গলা ফাটায়, আন্দোলন করে, তারা এই সিবিআই তদন্ত শুরু হলে নিজেদের চকচকে মুখগুলো সামনে আনতে পারবে তো? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের টাকা লুট করার যে প্রবণতা পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছিল, তা এবার শেষ হতে চলেছে। অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। তাদের সঙ্গে নাকি প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করা হচ্ছে। কিন্তু তারা বাংলায় বসে চুরি করবেন, কেন্দ্রের টাকা নয় ছয় করবেন, আর কেন্দ্রীয় সরকার তা মেনে নেবে, সেই দিন এবার শেষ হতে চলেছে। তাই দিল্লির বুকে তৃণমূলের আন্দোলনের মাঝেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে এই বিষয়ে হবে সিবিআই তদন্ত। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লির বুকে হওয়া আন্দোলনের পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হুশিয়ারি চাপ বাড়ালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রবল সমস্যার মুখে ফেলে দিল নবান্নকে। আগামী দিনে যদি এই সিবিআই তদন্ত শুরু হয়, তাহলে তৃণমূলে ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!