এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অভিষেকের লাফালাফিই সার, শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেই পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র! স্পষ্ট ইঙ্গিত!

অভিষেকের লাফালাফিই সার, শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেই পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র! স্পষ্ট ইঙ্গিত!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বঞ্চনা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনা দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এই ধর্ণা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী না থাকার কারণে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করে তাদের দাবি তুলে ধরবেন। যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা হতেই পারে। কিন্তু যারা বাংলায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তারা কি করে সমস্ত কিছু ভুলে দিল্লিতে গিয়ে টাকা চাওয়ার দাবি করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে তৃণমূল আন্দোলন করবে আর তাতে সম্মতি দিয়ে কেন্দ্র টাকা দিয়ে দেবে, এটা যদি ভেবে নেন তৃনমূলের যুবরাজ, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। আর তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল, শুভেন্দু অধিকারীর কথায়‌।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌছে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই তার এই দিল্লি উড়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে দিল্লি যাওয়ার আগেই শুভেন্দু অধিকারী একটি কথা বলেছেন, যা অত্যন্ত মারাত্মক। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে ছটায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেখা করবেন। তবে তার আগে চারটায় তার সঙ্গে সেই মন্ত্রীর বৈঠক রয়েছে। সেখানে তিনি ফেক জব কার্ডের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করবেন। আর শুভেন্দুবাবুর এই কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার বা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক যে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেই বাংলা নিয়ে সব পদক্ষেপ নেবে, তা স্পষ্ট।

একাংশের মতে, এই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে একশো দিনের কাজের দুর্নীতি বন্ধ করে দিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে তিনিই অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, বাংলায় এই একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার কাজের টাকা দেওয়া হলেও, তা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের কাছে হিসেব নিক। আর শুভেন্দুবাবুর এই ফর্মুলা প্রয়োগ করে কেন্দ্র রাজ্যকে চাপে ফেলে দিয়েছে। রাজ্য কোনো টাকা পাচ্ছে না, তাই দুর্নীতির কোনো প্রশ্নও আসছে না। তবে এবার সেই টাকা নিতে তৃণমূল দিল্লী পৌঁছে গিয়েছে তারা।

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু সেখানেও তৃণমূলকে টাইট দিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সঙ্গে দেখা নিশ্চয়ই করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু তার আগে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে কথা বলে বাংলার সমস্ত পরিস্থিতি জেনে নিয়েই তৃণমূলের চালাকি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেবে কেন্দ্র। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের সাংসদরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যা খুশি তাই বোঝাবেন, আর কেন্দ্র তা বুঝে রাজ্যকে টাকা দিয়ে দেবে, তা যদি তৃণমূল ভেবে থাকে, তাহলে তারা ভুল করছেন। কারণ, মাঝখানে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা নিয়ে যে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা স্পষ্ট। তৃণমূল ভেবে নিয়েছে যে, সবটাই বুঝি তাদের পশ্চিমবঙ্গ। তারা যেমন বোঝাবে, সেই মতই সবকিছু চলবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সরকার আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বাংলায় তৃণমূল সরকারে থাকলেও, বিরোধী দলনেতা বলে একটি পদ রয়েছে। তাই তাকে মান্যতা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে দিল্লিতে আন্দোলন করে কেন্দ্রের ওপর তৃণমূল চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ঠিকই। কিন্তু তা অবশেষে জলে যেতে চলেছে। তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করার আগে নিজের দলের নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠক করে নিয়ে গোটা বিষয়টি বুঝে তৃণমূলকে জব্দ করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। যা দেখে সমালোচক মহল বলছেন, দ্যাখ কেমন লাগে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!