এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সভাপতি বদল হতেই সরল তৃণমূলের কার্যালয়! দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে থিকথিকে ভিড়ে বাড়ছে আতঙ্ক!

সভাপতি বদল হতেই সরল তৃণমূলের কার্যালয়! দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে থিকথিকে ভিড়ে বাড়ছে আতঙ্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো আশঙ্কাজনক। এই মুহূর্তে প্রত্যেককেই করোনা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরাও এবার করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল কর্মীসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এবার একুশে জুলাই এর শহীদ সভা করেন ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে। কিন্তু তার মধ্যেই পুরুলিয়ায় এবার নতুন জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে করোনা বিধিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন কর্মী সমর্থকরা বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল সভাপতির পদে এসেছেন গুরুপদ টুডু। সেই উপলক্ষে তৃণমূলের নতুন জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন হলো এদিন। আর তাতেই দেখা গেল ব্যাপক ভিড় জমেছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছেন এই ভিড়ের কারণে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে গেল। অন্যদিকে তৃণমূল নেতারা পাল্টা দাবি করেছেন, ভিড় করা কর্মী-সমর্থকরা প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন।

এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি জানিয়েছেন, নতুন কার্যালয় নিয়ে কর্মীরা আবেগতাড়িত হয়ে ভিড় জমিয়েছেন। সূত্রের খবর, পুরুলিয়া শহরের বি টি সরকার রোডে তৃণমূলের আগের জেলা কার্যালয় ছিল। এদিন সেটি পুরুলিয়ার জামশেদপুর 32 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সরে এলো। নতুন কার্যালয়ের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো এবং নতুন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও জেলার তিন কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুষেণচন্দ্র মাঝি ও মিনু বাউরি। আর উপস্থিত ছিল বিপুল পরিমাণে কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় 11 বছর পরে তৃণমূলের কার্যালয়ের জায়গা বদল হলো। আগের কার্যালয়টি অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় ছিল। অন্যদিকে নতুন কার্যালয় ঘিরে যেভাবে ভিড় জমেছিল তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে সব মহলেই।অন্যদিকে জানা গেছে এদিন দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন হওয়ার সাথে সাথে গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলে দলবদলের অনুষ্ঠানও ছিল, যার ফলে ভিড় এত বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুরুলিয়া শহরে কিন্তু ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা 447 জন। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র জেলা কার্যালয় উদ্বোধনের কারণে যে পরিমাণ ভিড় জমা হলো, তাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে বৈ কমছে না। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, জমায়েতকারী বেশিরভাগ কর্মী সমর্থকদের মুখে কোন মাস্ক ছিলনা। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রাখার কথাও কারোর মাথায় ছিলনা। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো ব্যাপারটি খোঁজ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অন্যদিকে কর্মী সংগঠন বাড়াতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের রাস্তাটি আরো সুগম করে দিল এদিনের জমায়েত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির এবার অভিযোগ তুলেছে, তাঁদের জমায়েতে প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু যখন শাসকদলের লোকজন নিজেরাই নিয়ম ভঙ্গ করে, সেদিকে নজর দিয়েও প্রশাসন কোনোরকম শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তবে পুরুলিয়া জেলায় কার্যালয় দপ্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় যেভাবে করোনা সংক্রমনের আশংকাকে উস্কে দিল, তা নিয়ে এবার আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!