এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এই পঞ্চপান্ডবের কেউই কি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী? পিকের টিমের ইন্টারভিউ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

এই পঞ্চপান্ডবের কেউই কি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী? পিকের টিমের ইন্টারভিউ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

 

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবির পর প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিয়েই সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। টিম পিকের সাহায্যের ফলে লোকসভার পরবর্তী সময়কালে রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে ভালো ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার পেছনে মূল অবদান রয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে অভিনব কায়দায় পৌছে যাওয়া বলে মত একাংশের।

তাই এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃণমূলকে 3 বিধানসভা কেন্দ্রের সাফল্য পাইয়ে দেওয়া প্রশান্ত কিশোরের টিমের উপর বেশি করে ভরসা রাখতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, কিছুদিন আগেই ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী প্রয়াত হয়েছেন। ফলে তার ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে এবার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই উপ নির্বাচনে কে সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছে গুঞ্জন।

তবে তৃণমূলের রণনীতিকারের দায়িত্ব পাওয়া প্রশান্ত কিশোরের টিমের একটি পদক্ষেপে সেই গুঞ্জন আরও বৃদ্ধি পেল। কে প্রার্থী হবে, তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও, এই ফালাকাটার 5 তৃণমূল নেতা নেত্রীকে প্রশান্ত কিশোরের টিমের সাক্ষাৎকারের ঘটনা বাড়িয়ে দিল জল্পনা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ফালাকাটায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাকে প্রার্থী করলে ভালো হয়, তার ব্যাপারে জনমত নিয়েছে “আইপ্যাক।”

-আর এবার সেখানকার 5 তৃণমূলের নেতা নেত্রীর সাথে আলাদা ভাবে কথা বলল সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম। সূত্রের খবর, এই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন সন্তোষ বর্মন, প্রসেনজিৎ রায়, শেফালী নট্ট বর্মন, সুভাষ রায় এবং জয়ন্ত রায়। জানা গেছে, সন্তোষ বর্মন জেলা পরিষদের সদস্য এবং ফালাকাটা ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। অন্যদিকে শেফালী নর্মন জেলা পরিষদের সদস্যের পাশাপাশি ছোট শালকুমার অঞ্চলের তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী।

এছাড়াও দলের কিষান ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ রায় এবং গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ রায়। অন্যদিকে জয়ন্ত অধিকারী হলেন প্রয়াত অনিল অধিকারীর একমাত্র পুত্র। ফলে তাকেও প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকে ডাকায় এই পাঁচজনের মধ্যে কেউ একজন প্রার্থী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এই ব্যাপারে সেই ভাবে মুখ খুলতে চাননি এই সমস্ত ব্যক্তিরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গে শেফালী নট্ট বর্মণ বলেন, “প্রশাসনের লোকজন সন্তোষ বর্মন, সুভাষ রায় জয়ন্ত অধিকারী এবং প্রসেনজিৎ রায় সহ দলের অন্যান্য নেতাদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। এর বাইরে কী আলোচনা হয়েছে, তা সংবাদমাধ্যমকে বলা যাবে না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রসেনজিৎ রায় বলেন, “শুধু এটুকুই বলতে পারি, ফালাকাটায় দলের বর্তমান সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে পিকের লোকেরা জানতে চেয়েছিল। এর বাইরে কী আলোচনা হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়। ওগুলো দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

তবে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি সুভাষবাবু, সন্তোষবাবু এবং জয়ন্তবাবুরা। আর এখানেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে ফালাকাটা বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে সেখানকার 5 তৃণমূলের নেতা নেত্রীকে ডেকে পিকের টিমের এই সাক্ষাৎপর্ব কি প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষণ! তাহলে কি এই পাঁচজনের মধ্যে কাউকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করবে তৃণমূল! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “পিকের টিমের লোকেরা কার সঙ্গে কি কথা বলেছেন, তা বলতে পারব না। দলের রাজ্য নেতৃত্ব ফালাকাটা বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো সাংগঠনিক রিপোর্ট চাননি। রাজ্য নেতৃত্ব যখন চাইবে, তখনই ফালাকাটা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়ে দলকে স্বচ্ছ করার চেষ্টা করেছিলেন সেই প্রশান্ত কিশোর। সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা দেখে সেই প্রশান্ত কিশোরের অবদান সেখানে অনেকটাই রয়েছে বলে মনে করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। কেননা যাঁরা করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন, তারা সকলেই স্বচ্ছ এবং দলের পুরোনো কর্মী বলেই পরিচিত।

ফলে সেদিক থেকে ফালাকাটা বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে সেই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে স্বচ্ছ মুখ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে এবং জয় পেতে এখন থেকেই প্রশান্ত কিশোরের টিম কাজ শুরু করে দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন যে পাঁচজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হল, তাদের মধ্যে কেউ ফালাকাটা বিধানসভায় ঘাসফুলের টিকিট পান কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!