এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শুরু থেকে শুরু করছে তৃণমূল! বুথ থেকে সংগঠন শক্তিশালী করতে বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্যের মন্ত্রীর

শুরু থেকে শুরু করছে তৃণমূল! বুথ থেকে সংগঠন শক্তিশালী করতে বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্যের মন্ত্রীর

 

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলার মতই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। একদিকে যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে সাংসদ হয়েছেন, অন্যদিকে তেমনই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এর পরেই সাংগঠনিক নানান রদবদলের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে পরিবর্তন করে তার জায়গায় নতুন জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন অর্পিতা ঘোষ। জেলা পর্যবেক্ষকের পদে বসানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি যুবনেতা তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর সংগঠনের ভার ধরার পরই রাজীববাবু একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিস্তর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে সাজাতে চাইছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। আর জেলার সাংগঠনিক বিস্তারে গতিতে আনতে গত রবিবার দিন কলকাতা থেকে এসে সার্কিট হাউসে ওঠেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই বুনিয়াদপুর শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদেরকে নিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রাজীববাবু।

লক্ষ আগামীদিনের পৌরসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে জন্য এবং বিরোধীদেরকে পর্যুদস্ত করার উদ্দেশ্যে একেবারে বুথ স্তর থেকে দলীয় কর্মীদেরকে সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুত করতে নয়া উদ্যোগ নিতে দেখা গেল সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিনের বৈঠকে রাজীববাবু প্রত্যেকটি বুথ থেকে অন্ততপক্ষে দশজন করে কর্মীর বায়োডাটা জমা দিতে বলেন। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বকে রীতিমতো কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিনের বিশেষ কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা, সহ জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই কর্মীসভা থেকেই 2021 সালের আগত বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দলকে শক্তিশালী করার বার্তা দেন জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক জেলায় প্রত্যেকটি বুথ থেকে কম পক্ষে দশজন করে দলের সক্রিয় কর্মীদের জীবনপঞ্জি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজীববাবু। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অনেক আগেই এই জেলার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। কিন্তু উপনির্বাচন চলার জন্য জেলায় আসতে পারিনি। তবে এদিন জেলা কমিটি, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে মিটিং করেছি। তৃণমূল সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শোনে ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। আমি জেলায় সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছি। জেলা নেতৃত্বকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগের কথা বলেছি।”

এদিনের কর্মীসভা থেকে রাজীববাবু আরও বলেন, “এখন থেকে নিয়মিত জেলার সংগঠন দেখব।” নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যে ধরনের হিংসা- আন্দোলন চলছে, সেই প্রসঙ্গে রাজীববাবু জানান, “এইসব নিয়ে যেভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে, তা বরদাস্ত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। যে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করবে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে জেলার আটটি ব্লকের সবখানেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী মিছিল হবে বলেও জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের বৈঠক সম্পর্কে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস বলেন, “বৈঠকে রাজীববাবু বুথ স্তর থেকে দশজন করে সক্রিয় কর্মীর নাম ও বায়োডাটা চেয়েছে। আমরা তা তৈরি করে তার হাতে তুলে দেব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ইতিপূর্বে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতারা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলালেও তৎকালীন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র সংগঠনের ব্যাপারে শেষ কথা বলে এসেছেন।

কাজেই পর্যবেক্ষক থাকলেও তাঁরা সেরকম কোনো গুরুত্বই পায়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে যেভাবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় করিমপুর থেকে শুরু করে তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের দায়িত্বে ষোলআনা পালন করেছেন, তারপরে তার প্রতি অনেকটাই আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কাজেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আগামীদিনে সংগঠন চলতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!