প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে এমনিতেই খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজেপি নেতা এই ধরনের মন্তব্য করে উস্কানি দিচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাকে যাতে নির্বাচনের প্রচার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়, তার জন্য দাবি করতে দেখা গিয়েছিল শাসক দলকে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। যেখানে আগামী 29 তারিখের পর তৃণমূলের আর সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ময়দানে প্রচারে গিয়ে তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন মালদহের ইংরেজবাজারে একটি সভায় উপস্থিত হন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “29 তারিখের পর খেলা তো দূরের কথা, সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকবে না।” আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, সায়ন্তন বসু কি এই মন্তব্য করে পরোক্ষে তৃণমূলকে হুমকি দিলেন? নাকি রাজনৈতিক আক্রমণ করে তৃণমূলের আর কোনো রকম রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে চর্চা।

ইতিমধ্যেই সায়ন্তন বসু তৃণমূলকে এই ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের নেতা দুলাল সরকার বলেন, “অবিলম্বে সায়ন্তন বসুকে ব্যান করা উচিত। কমিশনের উচিত তাকে গ্রেপ্তার করা।” বলা বাহুল্য, এর আগে শীতলকুচির ঘটনা ঘটার পর বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা।

আর এবার ফের আরও একবার তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এলেন তিনি। বলা বাহুল্য, আগামী 29 এপ্রিল মালদহ জেলার নির্বাচন রয়েছে। আর তার আগে সায়ন্তন বসুর এই মন্তব্য যে যথেষ্ট উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি করল মালদহ জেলা রাজনীতিতে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।