এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিঙ্গুরের বিধায়কদের কোন্দল নাকি সংবাদমাধ্যমের চক্রান্ত, তবুও পুরনো দাবিতে অনড় মাস্টারমশাই!

সিঙ্গুরের বিধায়কদের কোন্দল নাকি সংবাদমাধ্যমের চক্রান্ত, তবুও পুরনো দাবিতে অনড় মাস্টারমশাই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সিঙ্গুর নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছিল রাজ্যের শাসকদলের। বেচারাম মান্নার সঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিবাদ প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা যায়। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যেই দলের কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় সেই রবীন্দ্রনাথবাবুকে। আর এর কিছুদিন পরেই হরিপালে তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না তার ইস্তফাপত্র দিতে উদ্যত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

স্বাভাবিকভাবেই খবরের শিরোনামে উঠে আসার সিঙ্গুর। যদিও বা শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বেচারামবাবু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরই সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে সমস্ত দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়ে একসাথে পথ চলবেন বলে জানিয়ে দেন বেচারাম মান্না। তবে বেচারামবাবু এই কথা বললেও রবীন্দ্রনাথ বাবু যে এখনও তার বিরুদ্ধে সুর নরম করেননি, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। যার ফলে সিঙ্গুরে দ্বন্দ্ব কমা তো দূর অস্ত, উল্টে তা অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন বেচারামবাবু সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করলেও তিনি এগিয়ে আসছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমার তো একটাই মাত্র দাবি। সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি হিসেবে মহাদেব দাসকে কাজ করতে দিতে হবে। বিষয়টি আমি জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাদের উত্তরের অপেক্ষায় এখনও বসে আছি। আর বেচাবাবু যখন সহমতের ভিত্তিতে কাজ করতে চান, তখন মহাদেবকে ব্লক সভাপতি হিসেবে তার মেনে নিতে আপত্তি কোথায়! উনি সহমতের কথা বলছেন, কিন্তু বাস্তবে দলীয় কার্যালয়ের চাবি আমি বারবার চেয়েও পাইনি। মহাদেববাবুকেও দেওয়া হয়নি। আমার ছেলের পেশা এমনকি আমি যে গাড়িতে চড়ি, তা নিয়েও বেচারামবাবু অতীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নানা কুৎসা করেছেন। যা কখনই কাম্য নয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ বেচারামমান্না নিজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথবাবুর দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে উদ্যত হলেও, অতীতের কথা তুলে ধরে বেচারাম বাবুর প্রতি যে তার বিন্দুমাত্র ভরসা নেই, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই ঘটনাতেই দুই হেভিওয়েট নেতা তথা জনপ্রতিনিধির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব কিভাবে মিটবে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তবে এই ব্যাপারে বেচারাম মান্না কিছু না বললেও, তার অনুগামী হিসেবে পরিচিত সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দুধকুমার ধাড়া রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের তরফে কৃষিজমি আন্দোলনে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মাস্টারমশাই কিন্তু আন্দোলনকারীদের বঞ্চিত করে নিজের পরিবার ও প্রিয়জনদের বেশ কয়েকটি চাকরি দিয়েছেন। অথচ উনি মুখে সততার কথা বলেন।”

এদিকে মুখে অনেক কিছুই বলা যায় বলে পাল্টা দুধকুমারবাবুকে কটাক্ষ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আর দুই নেতার দ্বন্দ্ব ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। একাংশের মতে, এভাবেই যদি গোটা পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে তা বেগতিক হয়ে যেতে পারে। একদা পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর ছিল এই সিঙ্গুর। এবার সেখান থেকে যদি তৃণমূলের দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়, তাহলে তা যে ভবিষ্যতে শাসকদলের কাছে বড় ধাক্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!