এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিক্ষকদের ‘অবৈধ’ বদলি নিয়ে একাধিক পদক্ষেপে ঝড় তুলতে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ

শিক্ষকদের ‘অবৈধ’ বদলি নিয়ে একাধিক পদক্ষেপে ঝড় তুলতে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ


প্রিয় বন্ধু বাংলা এক্সক্লুসিভ – রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে বা শিক্ষকদের উপরে কোনো বঞ্চনা হচ্ছে আর সেখানে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ – এ ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে কেউই মনে করতে পারছেন না। আর এবারও তার ব্যতিক্রম নয় – এবার রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে আবারো শিক্ষকদের ‘অবৈধ’ বদলি নিয়ে ঝড় তুলতে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। আইনি ব্যবস্থা, রাস্তায় নেমে আন্দোলন বা স্মারকলিপি জমা দেওয়া – কোনো পথই বাকি রাখছে না সংগঠনটি বলে জানা গেছে। কিন্তু, কি এমন ঘটল হঠাৎ করে যে এতো কিছু করতে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ?

সূত্রের খবর, জঙ্গলমহল, সুন্দরবন ও তরাই-ডুয়ার্স এলাকার মোট ৮ টি জেলার (আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া) মোট ২,৮৭৩ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলি করা হচ্ছে। আপাতত এই ৮ টি জেলায় হলেই খুব শীঘ্রই বাকি জেলাগুলিতেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরেও এই বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু, শিক্ষকদের চাকরির শর্তের মধ্যেই এই বদলির প্রক্রিয়া পরে – তাহলে এর মধ্যে ‘অবৈধ’ কি? আর কেনই বা তা নিয়ে ঝড় তুলতে চাইছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মইদুলবাবুর সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল, শিক্ষকদের এই তালিকা প্রকাশ হয়েছে গতকাল, আর আজকের মধ্যে প্রচুর শিক্ষকই হাতে পেয়েছেন বদলি সংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং তাঁদের আগামীকালের মধ্যে তাঁদের নতুন স্কুলে গিয়ে যোগ দিতে হবে। অর্থাৎ দুপুর ২ টো নাগাদ হাতে নির্দেশিকা পেয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নতুন জায়গায় গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে। যাকে রীতিমত ‘অমানবিক’ ও ‘অনৈতিক’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন মইদুলবাবু। তাঁর কথায় বেশিরভাগ বদলিই করা হচ্ছে অত্যন্ত প্রত্যন্ত জায়গায়, বাড়ি থেকে বহু দূরে। শিক্ষকদের যা বেতন তাতে এত অল্প সময়ে সেখানে গিয়ে বসবাসের জায়গা খুঁজে সেখানে গিয়ে কাজ করা রীতিমত কঠিন।

তাহলে এখন করণীয় কি? মইদুলবাবুর কথায়, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং আইনজীবীদের সাহায্য নিয়ে একটি ড্রাফট বানিয়েছেন। যে সব শিক্ষকদের কাছে বদলির নির্দেশিকা এসেছে, তাঁরা শীঘ্রই সেই ড্রাফটটি পূরণ সংশ্লিষ্ট এসআই বা ডিআইদের কাছে জমা করুন। এছাড়া শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ সমগ্র বিষয়টি নিয়ে আগামীকালই আদালতে মামলা দায়ের করে এর উপর স্থগিতাদেশ আনার চেষ্টা করছে। পরবর্তীকালে আগামী ৬ ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শিক্ষা সচিবের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও এই বিষয়ে দেখা করবে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। আর কোথাও যদি কোনো সুরাহা না মেলে তাহলে রাস্তায় নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ তো খোলাই আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!