এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লক্ষ্য উন্নততর বাংলা! নব-নির্বাচিত বিধায়কদের কড়া নির্দেশিকা মমতার! ছাড় নেই সেলিব্রিটিদেরও!

লক্ষ্য উন্নততর বাংলা! নব-নির্বাচিত বিধায়কদের কড়া নির্দেশিকা মমতার! ছাড় নেই সেলিব্রিটিদেরও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে 2011 বা 2016 সালে জয়লাভ করার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা সঠিকভাবে কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। যার প্রভাব পড়েছিল 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে। রাজ্যের 18 টা আসন দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এবারেও তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও, 77 টি আসন দখল করে বিরোধী দলের জায়গা লাভ করেছে গেরুয়া শিবির।

আর এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই বিধায়কদের দায়িত্ব পালনের জন্য সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক প্রতিনিধি হোক বা সেলিব্রিটি বিধায়ক, সকলকেই যে নিজের কাজের দিকে নজর দিতে হবে, তা বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর তার এই বার্তা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার অধ্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য বিধানসভায়। আর সেখানেই নবনির্বাচিত বিধায়কদের মুখোমুখি হয়ে অভিভাবকের মতো সকলকে পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এবার অন্তত 70 জন নতুন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। দলের সাধারন নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার অনেকে জিতে এসেছেন। সোহম, কাঞ্চন, রাজ, জুন অদিতিদের মত সাংস্কৃতিক জগতের পরিচিত বেশ কিছু মুখ রয়েছে। তাদের মধ্যে সকলকে আমি বলব, বিধানসভা মন দিয়ে করতে হবে। অধিবেশন বা কমিটির বৈঠকে নিয়মিত হাজির থাকতে হবে। অংশ নিতে হবে আলোচনায়, প্রশ্নোত্তরে। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিলের ওপর বক্তব্য রাখতে হবে। না আসতে পারলে সেই কারণ জানাতে হবে।”

পাশাপাশি ভোটের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত গন্ডগোল শুরু হয়েছে, তা আটকানোর জন্য বিধায়কদের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এলাকায় গিয়ে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করুন। কোথাও কোনো গোলমাল বা ফেক নিউজ সরানোর খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে এফআইআর করুন।” অর্থাৎ অভিজ্ঞ বিধানসভার সদস্যদের পাশাপাশি অনেক সাংস্কৃতিক জগতের মানুষেরাও এবার তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেছেন।

ফলে সকলকে নিয়মকানুন শেখানোর পাশাপাশি যাতে বিধানসভার গরিমা বজায় রাখতে সকলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিধানসভা পারফরম্যান্সের অন্যতম জায়গা। সাধারণ মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে সকলকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তাই সকলে যাতে সাধারণ মানুষের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দেন, তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ধরনের নির্দেশ এবং বার্তা দিতে দেখা গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, নির্বাচিত বিধায়কদের অনেকেই বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ সময় উপস্থিত থাকেন না। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় সারপ্রাইজ ভিজিট দিলেও, সকল বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে না দেখে রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। পরবর্তীতে দলীয় বৈঠকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিধানসভার আলোচনায় সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। যদি কেউ না আসতে পারেন, তাহলে আগেভাগে তা জানাতে হবে।

তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যখন বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তখন সেই বিধানসভার আলোচনায় যাতে তার দলের সকল বিধায়ক অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিধানসভার আলোচনায় যদি শাসকদলের বিধায়কেরা উপস্থিত না থাকেন, তাহলে সেটাকে প্রশ্ন হিসেবে মানুষের কাছে তুলে ধরা হতে পারে। যার ফলে তৃণমূল কিছুটা হলেও সমস্যার মুখে পড়তে পারে।

তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের ভোটে জেতা দলীয় বিধায়কদের সকলকে বিধানসভার নিয়মকানুন শেখানোর পাশাপাশি যাতে সকলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য বাংলাকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

তাই সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গণতন্ত্রের পীঠস্থান বিধানসভায় সকলের উপস্থিতি যে একান্ত জরুরি, তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেলিব্রিটি বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিধায়করা বিধানসভার আলোচনায় কতটা অংশগ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!