এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > হার নয়, বিপদে নেতাদের পাশে না পেয়ে অভিমানী বিজেপির নীচুতলা! দলে দলে যোগ দিতে চান তৃণমূলে!

হার নয়, বিপদে নেতাদের পাশে না পেয়ে অভিমানী বিজেপির নীচুতলা! দলে দলে যোগ দিতে চান তৃণমূলে!


 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আশানুরূপ ফল লাভে সমর্থ হয়নি। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থক প্রাণ বাঁচাতে আত্মগোপন করেছেন বা অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকেই দূরে রয়েছেন ,বাড়ি থেকে, আপনজনদের থেকে। এই বিপদের দিনে দাঁড়িয়ে বিজেপির সমর্থকদের অভিযোগ, বিপদের দিনে নেতৃত্বকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তৃণমূলে যোগদান করার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন অনেকে।

বিজেপির একাধিক কর্মী, সমর্থক ও কার্যকর্তার অভিযোগ, নেতারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না, পার্থীকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাণ বাঁচাতে বহু কর্মী-সমর্থক অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন, আত্মগোপন করেছেন। কিন্তু নেতারা দলের পাশে থাকছেন না। অনেকের অভিযোগ, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর থেকে নেতারা আর যোগাযোগ করছেন না তাদের সঙ্গে। বহু চেষ্টা করেও নেতাদের সঙ্গে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে, তৃণমূলে যাবার মনস্থ করছেন অনেকেই। যা বিজেপি দলের কাছে এক অশনী সংকেত বলা যায়।

এমন ধরনের চিত্র দেখা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তবে জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি এখনো মেনে নিতে নারাজ। বিজেপির বর্ধমান জেলা সদর সম্পাদক শ্যামল রায় জানালেন, ভয়ের কারণে কোনো প্রার্থী হয়তো কিছু করতে সক্ষম হচ্ছেন না। কিন্তু দলের এই পরিস্থিতি নিয়ে সকলেই চিন্তিত আছেন। তাঁরাও অনেক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। দলকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ন্যূনতম সময় দেওয়া দরকার। তবে, তাঁর দাবি, তাঁরা কর্মীদের পাশে রয়েছেন। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর অনুরোধ করছেন প্রশাসনকে, অন্যায়কারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছেন পুলিশকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জেলা নেতৃত্তের এমনতর বাক্যেও মন গলছে না কর্মী-সমর্থকদের। নিজের নাম গোপন রেখেই ভাতারের জনৈক বিজেপির মন্ডল সভাপতির কথায়, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন। দলের কোনো নেতার সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারছেননা। প্রার্থীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁর মতো আরও অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

পরিবার-পরিজনদের কথা জানেন না তাঁরা। জানতে পেরেছেন, তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আক্ষেপ করে তিনি বলেছেন যে, যে দলের জন্য এতটা তাঁরা লড়াই করেছেন। সেই দলই এখন পাশ থেকে সরে পড়েছে। এই অবস্থায় তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের নেতারা যদি তাদের সঙ্গে নেন, তবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক আছেন তাঁরা।

ভাতারের জনৈক যুব বিজেপি কর্মীর কথায়, প্রার্থীকে ফোন করেও তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, যে সমস্ত কাউন্টিং এজেন্ট গণনার দিনে এসেছিলেন, তাদেরকে টিফিন পর্যন্ত দেবার ব্যবস্থা করা হয়নি, যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও অপ্রতুল। তৃণমূল প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী তাদের খাবার জন্য সেদিন অনুরোধ করেছিলেন। অপর এক বিজেপি কর্মী জানালেন, ভোটের পর থেকেই দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

বারবার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেউ ফোন তুলছেন না। প্রার্থী দু-একবার হয়তো ফোন তুলেছেন। কিন্তু তিনিও সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে নিজে সরে পড়েছেন। বিজেপি নেতৃত্তের এই নিস্পৃহতা থেকেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে শেষ পর্যন্ত অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করে দিয়েছেন। যা দলের কাছে একটা অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিতে পারে বলে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!