এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাই কি ছাটা হল প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রীকে?

দলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাই কি ছাটা হল প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রীকে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে বর্তমানে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে‌। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দল। একের পর এক অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সাসপেনশন এনে তৃণমূলের তরফে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, কোনভাবেই দল দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না। কিন্তু এবার হেভিওয়েট নেতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই কি পদ হারালেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রী? রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে। জানা গেছে, দলের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছিলেন হরিপালের তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা শম্পা দাস। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার হওয়ার সাথে সাথেই এবার তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল?

জানা গেছে, ব্লক মহিলা সংগঠনের সভানেত্রীর পদ হারাতে হল শম্পা দেবীকে। পাশাপাশি ব্লক সংগঠনের কার্যকরী কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাকে। স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করেই তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এবার রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণেই ডানা ছাটা হল শম্পা দাসের?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভয়াবহ দুর্যোগে পড়ে যাওয়া গাছ বিক্রি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী শম্পা দাস। যেখানে তৃণমূল পরিচালিত আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী এক সদস্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। আর এরপর থেকেই তাকে দলের সমস্ত জায়গা থেকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে যে তৃণমূল কংগ্রেস শুদ্ধিকরণের বার্তা দিচ্ছে, সেখানে কেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া নেত্রীকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে কি মুখেই তৃণমূলের শুদ্ধিকরণের বার্তা! কাজে অন্য এক রূপ দেখাতে শুরু করেছে শাসক দল? কেন তাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া হল? এদিন এই প্রসঙ্গে শম্পা দাস বলেন, “আমাকে অপসারণ করার আগে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে রাজ্যকে জানাব। রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া কাউকে দলীয় পদ থেকে সরানো যায় না। ব্লকের সংগঠনের দায়িত্বশীল অনেকে দলকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করেন। যা মন চায় তাই করেন। আমাকে দলের প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে সব কমিটি থেকে।” কিন্তু কেন তাকে সরিয়ে দেওয়া হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সদস্য আমাকে জানিয়েছেন। দলের ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।” এদিকে এই ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দিতে চাননি জেলা তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী করবী মান্না। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণেই তার ডানা ছেঁটে তৃণমূল প্রমাণ করে দিল যে, তারা দুর্নীতিকে আরও বেশি করে প্রশ্রয় দিতে চায়। আর তাই সোচ্চার হওয়া নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিল শাসক দল বলে দাবি করছে সমালোচক মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!