এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা, ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত মোদীর, চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর!

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা, ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত মোদীর, চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নরেন্দ্র মোদির একটি কথায় যারা রাজনীতি করে চুরি করার ধান্দা করেছিলেন, তারা কিন্তু রীতিমতো চুপসে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন, না তিনি নিজে খাবেন না, না কাউকে খেতে দেবেন। অর্থাৎ দুর্নীতি হলে যে কাউকে তিনি রেহাই দেবেন না এবং ছেড়ে কথা বলবেন না, তা প্রথম দিনেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। যার ফলে 2024 এর আগে বিভিন্ন জায়গায় যারা দুর্নীতি করেছেন, যারা মানুষের টাকা লুট করেছেন, তাদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। অনেক দলের অনেক বড় বড় মাথারা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। অনেকে আবার জেলে ঘানি টানছেন। তবে যে সমস্ত চোরেরা জেলে গিয়েছেন, তারা যদি ভেবে থাকেন যে, তারা জেলের ভাত খাবেন, আর দিব্যি সুখে সেখানে ঘুমোবেন, তাহলে তারা ভুল করছেন। যেভাবে তারা মানুষের টাকা চুরি করেছেন, তাতে আইন অনুযায়ী তাদেরকে যেমন জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে, ঠিক তেমনই সেই মানুষের টাকা চোরদের কাছ থেকে কি করে মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে হয়, সেটাও খুব ভালো করে জানেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই যারা এখনও চুরি করার স্বপ্ন দেখছেন, ভাবছেন, খুব বেশি হলে তো জেল হবে, তাদের কাছে কিন্তু আরও একটা বিপদ অপেক্ষা করছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের অনেক নেতা এখন জেলে রয়েছেন। অনেকে জেলে যাবেন বলে দাবি করছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যকে হাতিয়ার করে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটা ভয়ংকর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে বড় ইঙ্গিত দেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলে দিয়েছেন, চোরেরা যারা চুরি করেছে, তারা শুধু শাস্তি পাবে, তাই নয়। তারা যেমন জেলে যাবে, ঠিক তেমনই যে সমস্ত মানুষের টাকা চুরি করেছে, সেটা কি করে সুদে আসলে ফিরিয়ে দিতে হয়, সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করে জানেন। অনেকে বলছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যদি এই কথা বলে থাকেন নরেন্দ্র মোদী, তাহলে তিনি তো সত্যিই রাষ্ট্র নায়কের মতই বক্তব্য রেখেছেন। যে সমস্ত মানুষের টাকা চুরি গিয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে, চোরেরা টাকা নিয়ে চুপচাপ জেলে দিন কাটাবেন, আর সেই সমস্ত হতভাগ্য মানুষরা গরিব থেকে আরও গরীব হবে, এটা তো হতে পারে না। তাই যাদের টাকা লুট হয়েছে, তাদের টাকা আগে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি চোরেদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে হয়, তাহলে প্রয়োজনে যে সেটাও করা হতে পারে, সেই ব্যাপারেই কি ইঙ্গিত দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? শুভেন্দু অধিকারী যে বক্তব্য রেখেছেন, তারপর কিন্তু সেই সম্ভাবনা ক্রমশ প্রকট হতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

বিজেপির দাবি, যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোতেড় সেখানে সঠিক তদন্ত হলে চোখ কপালে উঠবে। পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির পরিমাণ পাহাড় সম। চোরেদের জেলে যাওয়ার লাইন লেগে যাবে। তবে চোরেদের উচিত শিক্ষা দিতে গেলে এবং ভবিষ্যতে যাতে কেউ মানুষের টাকা নিয়ে ছেলে খেলা করতে না পারে, তার জন্য যারা চুরি করেছে, তাদের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে মানুষের টাকা মিটিয়ে দেওয়া উচিত। তাই দেশনায়ক হিসেবে নরেন্দ্র মোদী মানুষের কথা ভেবে সেই দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষমতা পেয়ে গিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। যারা শাসক দলে রয়েছেন, তারা মানুষের টাকা লুট করার প্রবণতা নিয়েই ক্ষমতা দখল করেছেন। যার ফলে শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই দেশের লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি চোরেদেরকে বার্তা দিয়ে তিনি এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, চুরি করার ফল মারাত্মক হতে পারে। ভবিষ্যতে তো আরও অনেকে বড় বড় চোর ধরা পড়বে। তাই যারা মানুষের টাকা লুট করার অভিযোগে জেলের ঘানি টানবেন, তাদের কাছ থেকেই কিন্তু মানুষের টাকা মেটানো হবে। স্বাভাবিক ভাবেই এবার ক্ষমতায় বসে চুরি করার যে স্বাদ নেতা-নেত্রীরা পেয়ে গিয়েছেন, তাতে কার্যত জল ঢেলে দিয়ে মোদীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে দুর্নীতি গ্রস্তদের ঘুম কেড়ে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!