এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার পরাজয় নিশ্চিত, লক্ষ লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর!

মমতার পরাজয় নিশ্চিত, লক্ষ লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা পেয়ে পুলিশকে যা ইচ্ছে, তাই ভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। সব জায়গায় কি করে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমন করতে হয় আর পুলিশকে কি করে ব্যবহার করতে হয় সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যার ফলে বিরোধীরা এই রাজ্যের পুলিশের নাম দিয়েছে, মমতা পুলিশ। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনের লজ্জা নেই। তারা আবার নির্লজ্জ ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের মত জায়গায় মিথ্যে মামলা দিয়ে বিরোধী নেতা কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব ভয় যে বিরোধীরা পায় না এবং তাদের পাশে যেভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন, তাতে আজ আবার বেকায়দায় পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস প্রশাসন। একেবারে মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গিয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একটি রাজনৈতিক দাবি করে বসলেন। যদি সত্যি বিজেপি কর্মীদের কোনো অপরাধ থাকত, তাহলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই পারত। এতে শুভেন্দু অধিকারী বলার মত কোনো জায়গা ছিল না। কিন্তু যখন মিথ্যে অভিযোগে পুলিশ বেছে বেছে রাজনৈতিক কারণে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করছে, তখন প্রতিবাদ একটা করতেই হবে। সেই কারণে শুভেন্দু অধিকারী এই এলাকায় পৌঁছে গিয়েই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন এই রাজ্যের শাসকদলের ক্ষমতা নিয়ে।

প্রসঙ্গত, এদিন ভূপতীনগরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি এই রাজ্যে শাসক দলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, আগামী নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে এরা কয়েক লক্ষ ভোটে পরাজিত হবে। এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা বলার কারণ কি! কেন তিনি এই কথা বলতে গেলেন? এই কথা বলার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তৃণমূল দাবি করে, তাদের নাকি প্রচুর সমর্থন রয়েছে। তাহলে এত সমর্থন থাকলে পুলিশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে হচ্ছে কেন?

বিরোধীরা তো নিশ্চিত যে, পুলিশ না থাকলে তৃণমূল সব আসনে পরাজিত হবে। তাই যদি তৃণমূলের এতই ক্ষমতা থাকবে, তাহলে তারা শুভেন্দু অধিকারীর করাই চ্যালেঞ্জকে মিথ্যা প্রমাণ করে দেখাক। তাই হাতে যখন আর কয়েক দিন সময় রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের, তখন সেই সময়েই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ কাকে ভরসা করছে! অবশ্য যে নন্দীগ্রামের মত জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন, সেই তিনি এবং তার দল আবার আশা করছে যে, এরা লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি নাকি দখল করবে! এখানে কি পরিমান জামানত জব্দ হবে তৃণমূল প্রার্থীর, তা হয়তো বুঝেও না বোঝার ভান করে ইগো নিয়ে একটা লড়াইয়ের বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপি দাবি, পুলিশ দিয়ে কোনোদিন রাজনীতি হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা ভুলে গিয়েছেন জন্যই আজকে এই রাজ্যের এত খারাপ পরিস্থিতি! সব জায়গায় পুলিশকে ব্যবহার করে এমনকি ভোটে জিততেও এই রাজ্যের শাসক দল পুলিশকে ব্যবহার করছে। যার ফলে মানুষ এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করেছে। নন্দীগ্রাম যেমন গোটা রাজ্যকে পথ দেখিয়েছে, ঠিক তেমনই আগামী দিনে এই পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর দেখানো পথেই তৃণমূলকে জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শাসকের সময় কখনও ভালো হয় না, যখন তারা পুলিশকে ব্যবহার করতে শুরু করে। বামেরাও তাদের শেষের সময় পুলিশকে এত পরিমাণ ব্যবহার করতে শুরু করেছিল যে, মানুষ তাদেরকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। যার ফলে 34 বছরের একটা সরকার এই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে। আর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুলিশ নির্ভর হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার কারণে আজকে পুলিশি অত্যাচারকে আটকে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুভেন্দু অধিকারীকে তারা জননেতা হিসেবে বেছে নিতে শুরু করেছেন। আর এটাই আগামী দিনে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট শাসকের কাছে। যেভাবে পুলিশি অত্যাচার শুরু হয়েছে মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকায়, তাতে লোকসভা নির্বাচনে হারে হারে তার টের পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তখন হতাশ হয়ে চুপচাপ ঘরে বসে থাকা ছাড়া তার আর কোনো উপায় থাকবে না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!