প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ওপরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যথেষ্টভাবে অসন্তুষ্ট। এই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসায় যথেষ্ট বিরক্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যারা হলেন ত্রিপুরা, কর্ণাটক, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। এদের সকলকেই আলাদাভাবে দিল্লিতে উপস্থিত হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁদের আলাদা করে বৈঠক চলবে। সেখানে নানা বিষয়ে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বৈঠকের পর তাদের প্রতি নেওয়া হতে পারে কঠোর কোন পদক্ষেপ।

বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ন্ত্রণে যেমন তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জমা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেটা বুঝেই সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাঁর আপ্ত সহায়ককেও তিনি নিয়েছিলেন সঙ্গে। দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে, তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে? সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানান নি।

আবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে নিয়েও যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিছুদিন ধরেই কর্নাটকে একটা বেসামাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ সহ প্রশাসনিক ব্যর্থতারও অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় যেকোনো সময় তিনি ইস্তফা দিতে পারেন, এমন একটা জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। জানা যায়, রাজ্য বিজেপির একাংশও তাঁর ইস্তফা চাইছেন।

যদিও শেষ পর্যন্ত, এটা অস্বীকার করেছেন তিনি। জানা গেছে তাকে কিছুটা সময় দিয়েছে দল। গত শুক্রবার হঠাৎ করে দিল্লি উপস্থিত হন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। অনেকে মনে করেছিলেন, ইস্তফা দিতেই যাত্রা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। তবে, তাঁর পদত্যাগের বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানান, এ সমস্ত কিছুর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। জানা যাচ্ছে, দলের পক্ষ থেকে তাঁকে কিছুটা সময় দেয়া হয়েছে।

আবার, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার প্রতিও দল যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো কৃষক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা। অভিযোগ উঠেছে, কৃষক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আবার, ভুল পদক্ষেপ নিয়ে দলের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বস্তুত, কর্ণাটক, ত্রিপুরা, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীদের উপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তাই যেকোনো সময় এদের পদত্যাগ করানো হতে পারে বলে, মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তবে, এ বিষয়ে এখনো তেমন কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে।