এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > জনসংঘ করায় আটকে রেখে মারধর, অস্বস্তিতে বিজেপি!

জনসংঘ করায় আটকে রেখে মারধর, অস্বস্তিতে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে ক্রমশ পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে। এবার ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠলbjp নতুন দামপাল চর এলাকা। যেখানে ভারতীয় জনসংঘ করার অপরাধে তিন ভাই ও তাদের পরিবারের লোকজনকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্বস্থলী এলাকায়। নির্বাচনের আগে যেখানে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনায় অস্বস্তি যে ক্রমশ বাড়তে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা যায়, বৃহস্পতিবার এই নতুন দামপাল এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ঘরোয়া বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

আর সেখানে গ্রামের ছেলে তথা বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত সুজয় বিশ্বাসকে ফোন করে ডাকা হয়েছিল। জানা  যায়, কিছুদিন আগেই তিনি ভারতীয় জনসংঘে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেই বৈঠক চলার সময় বিজেপি কর্মীরা সুজয় বিশ্বাসকে থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে সুজয় বিশ্বাস সমস্ত ঘটনা জানালে তার দাদা বাবলু বিশ্বাস এবং সঞ্জয় বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের কাছে চড় মারার কারন জিজ্ঞেস করেন।

আর এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে সেই বাবলু বিশ্বাস এবং সঞ্জয় বিশ্বাসকে আটকে রাখার পাশাপাশি তাদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। শুধুমাত্র জনসংঘ করার কারণে কেন তাদেরকে মারধর করা হল, এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনসংঘ। এই ব্যাপারে ভারতীয় জনসংঘের নেতা রানা সিনহা বলেন, “আমরা আগে বিজেপি করতাম। কিন্তু বিজেপির পূর্বস্থলীর প্রার্থী আমাদের পছন্দ হয়নি। তাই জনসংঘে যোগ দিয়েছি। কয়েকদিন আগে আমরা মিছিল বের করেছিলাম। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে বিজেপি। তার জেরে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে।” বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে রাজ্য জুড়ে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে।

বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার আগেই যেভাবে বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করার কারণে তিন ভাইকে মারধর করা হল, তাতে গেরুয়া শিবির এখনে যথেষ্ট ব্যাকফুটে। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনায় বিজেপি যে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!